বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় ভিলেন হলেন অমরীশ পুরী (Amrish Puri)। তিনি যে কত আইকনিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। নেপোটিজমের বলিউডে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি, সাফল্য আদায় করেছিলেন ‘মোগ্যাম্বো’। আজকের এই প্রতিবেদনটি অবশ্য অমরীশকে নিয়ে নয়, বরং তাঁর নাতি বর্ধানকে (Vardhan Puri) নিয়ে।
অমরীশ এমন একজন অভিনেতা যিনি নিজের কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের জন্যেও বহুবার চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন। একবার যেমন বলিউড সুপারস্টার গোবিন্দাকে থাপ্পড় মেরে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। বি টাউনের এই হাড়জ্বালানো ভিলেনের নাতি (Amrish Puri grandson) বর্ধানও ইতিমধ্যে অভিনেতা হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করে ফেলেছেন। দাদুর মতোই নিজের ব্যক্তিত্বের কারণে চর্চার কেন্দ্রে উঠে আসেন তিনিও।
অমরীশ পুরী বলিউডের নামী ভিলেন হলেও, তাঁর নাতি বর্ধানকে কিন্তু এক্কেবারে হিরোদের মতো দেখতে। অনেকের মতে, ‘মোগ্যাম্বো’র নাতির কাছে ফেল রণবীর কাপুরের মতো সুদর্শন অভিনেতাও। নিজের হ্যান্ডসাম লুক এবং দুর্দান্ত স্টাইলিংয়ের জন্য প্রায়ই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন বর্ধান।
‘মোগ্যাম্বো’র নাতি ২০১৯ সালে ‘ইয়ে শালি আশিকী’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন। সেই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী শিবলেখা ওবেরয়। দু’জনেরই ডেবিউ ছবি এটি, তবে বক্স অফিসে সেভাবে ব্যবসা করতে পারেনি বর্ধানের প্রথম ছবি। অভিনেতা হিসেবে এখনও সেভাবে ছাপ না ফেলতে পারলেও, বর্ধান নিজের স্টাইলিংয়ের মাধ্যমে কিন্তু প্রত্যেককে ইমপ্রেস করেছেন।
বর্ধান সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচণ্ড অ্যাক্টিভ থাকেন। সেখানে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাও রীতিমতো আকর্ষণীয়। প্রায়ই নিজের নানান ছবি, ভিডিও সেখানে শেয়ার করে থাকেন অমরীশের নাতি। নেটিজেনদের মতে, দেশি হোক বা বিদেশি- সব ধরণের লুকেই প্রচণ্ড হ্যান্ডসাম দেখায় তাঁকে। অনেকের মতে আবার, অভিনেতা হিসেবে সফল হন বা না হল, বর্ধান মডেল হিসেবে দারুণ সফল হবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিনেতা হিসেবে কেরিয়ার শুরুর আগে অমরীশের নাতি বেশ কিছু ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ‘দাওয়াত-এ-ইশক’, ‘ইশকজাদে’, ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’এর মতো ছবির সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে অভিনেতা হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন বর্ধান। যদিও এখনও অবধি দাদুর মতো খ্যাতি কিংবা সাফল্য পাননি তিনি।