• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

দর্শকেরা জুতো খুলে ঢুকতো হলে, আদিপুরুষের বহু আগেই কম বাজেটে সুপারহিট হয়েছিল এই সিনেমা

ভারতীয় সিনেমা জগতে পৌরাণিক কাহিনী নির্ভর সিনেমা নতুন নয়। তবে একথা সত্যি বিগ বাজেটের সিনেমা ‘আদিপুরুষ’ যে পরিমাণ প্রচার পেয়েছে অতীতে এই ধরণের পুরান নির্ভর সিনেমা সেভাবে প্রচার পায়নি।  তাছাড়া এখনকার মতো সেই সব সিনেমা গুলিতে থাকতেন না তেমন কোনো জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীরাও। খুব সহজভাবেই ঠাকুর দেবতাদের গল্প কাহিনী শুনিয়ে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে বাজিমাত করেছিল অতীতের এমন একটি সিনেমা। যার নাম ‘জয় সন্তোষী মা’ (Joy Santoshi Maa)।

১৯৭৫ সালে যে বছর অমিতাভ বচ্চনের ‘শোলে’ মুক্তি পেয়েছিল সেই বছরই মে মাসে মুক্তি পায় এই সিনেমা।  সিনেমাটিতে অভিনয় করেছিলেন গুহ. কানন কৌশল এবং আশীষ কুমার এর মত অভিনেতারা। সেইসময়ে দাঁড়িয়ে  তখনকার দিনের এই অল্প বাজেটের  সিনেমাটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল দর্শকমহলে। তখনকার দিনের হিসেবে সিনেমায় ব্যবহৃত ভিস্যুয়াল এফেক্ট ছিল তুলনামূলকভাবে বেশ খারাপ মানের। সিনেমার সংলাপও ছিল বেশ নাটকীয়।

   

আর ছবির বিরতিতে বাজানো হতো ভক্তিমূলক গান। সেই গানগুলি দর্শকদের মনে এতটাই গেঁথে গিয়েছিল যে দর্শকরা অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন এই সিনেমার শীর্ষসঙ্গীত ‘ম্যায় তো আরতি উতারু’ আসলে ঈশ্বরের আরতি সংগীত।  তাই এই সিনেমার গানের প্রসঙ্গে গীতিকারের মেয়ে মিতুল প্রদীপ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন এটি নাকি তাঁর বাবার জীবনের অন্যতম বৈগ্রহিক রচনা।

সকলেই জানেন সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ভক্তি সহকারে সন্তোষী মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। তাই সে সময় যখন সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল তখন শুক্রবার করে ভক্তরা সিনেমা হলে ঢোকার আগে সন্তোষী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের পায়ের জুতো খুলে প্রবেশ করতেন।  এছাড়াও মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী খবর সে সময় মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ শোয়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আসলে প্রত্যেক শনিবার শিশুদের স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যেত। তাই সেই দিনেই মহিলাদের জন্য হতো বিশেষ শো যার নাম ছিল ‘জননী শো’। শিশু এবং তাদের মায়েরাই এই শো দেখতে যেতেন। এই সিনেমাটিই  পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আবার নতুন করে তৈরি করা হয়। যেখানে বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচাই  অভিনয় করেছিলেন সন্তোষী মায়ের চরিত্রে। জানা যায় এটিই ছিল তার প্রথম সিনেমা।

প্রসঙ্গত আগেই বলা হয়েছে অমিতাভ বচ্চনের শোলে যে বছর মুক্তি পেয়েছিল সেই বছরই মুক্তি পেয়েছিল এই সিনেমা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় শুরুর দিকে সাফল্যের দিক থেকে শোলের ঠিক পরেই সন্তোষী মায়ের অবস্থান হলেও কিছুদিনের মধ্যেই উপার্জনের দিক দিয়ে শোলেকেও  ছাপিয়ে যায় এই স্বল্প বাজেটের সিনেমাটি।

site