ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তাঁর অভিনয়, উচ্চতা, পার্সোনালিটি সর্বোপরি রাশভারী কন্ঠস্বরের জুড়ি মেলা ভার। তিনি কথা বললে যেন সারা প্রেক্ষাগৃহ কেঁপে ওঠে, কিন্তু এক সময় তাকেই রিজেক্ট করেছিল ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ (All India Radio) অর্থাৎ আকাশবাণী। আসলে তখন সদ্য স্নাতক বর্ষের পড়াশোনা শেষ করে হন্যে হয়ে একটা চাকরি খুঁজছিলেন বিগবি। তখনই তার এক বন্ধু তাকে পরামর্শ দেন আকাশবাণীতে ইংরেজি সংবাদ পাঠকের জন্য লোক নেওয়া হচ্ছে।
এই কথা শোনা মাত্রই বিগবি নিজেকে তৈরি করেন, এবং আকাশবাণীতে ইংরেজি ও হিন্দিতে সংবাদ পাঠকের জন্য অডিশান দেন। কিন্তু সেখানে বিফল হন অমিতাভ। তাকে রিজেক্ট করে দেওয়া হয়। এবং আকাশবাণীর তরফে জানানো হয় অমিতাভের গলা সংবাদ পাঠের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। এই ঘটনায় বেজায় ভেঙে পড়েছিলেন বলিউডের শেহেনশা। তবে তারপর কলকাতায় একটি চাকরি পান অমিতাভ, সেই কোম্পানিতে প্রায় ৭ বছর ছিলেন তিনি।
ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল তার। স্কুলে প্রথম অভিনয় বলতে কিন্ডারগার্টেনে পড়াকালীন নাটকে মুরগী ছানা সেজেছিলেন তিনি। এরপর চাকরিসূত্রে কলকাতায় থাকাকালীন অ্যামেচার্স নামে একটি নাটকের গ্রুপে নিয়মিত ইংরেজি নাটকে অভিনয় করতেন অমিতাভ। এরপর ভাইয়ের সহায়তাতেই প্রথম অমিতাভের মুম্বইয়ে পা রাখা।।
বলিউডের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে শুরুটা খুব দারুন না হলেও দুএকটা ছবির পরেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা। প্রথম সুপার হিট ছবি ছিল ‘আনন্দ (Anand 1971)’, যার জন্য প্রথম ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি। এরপর অসংখ্য সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকের, যা আজও মনে গেঁথে রয়ে গিয়েছে। তবে সত্তরের দশকেই একটি ছবি করেছিলেন অমিতাভ যেটা ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছিল।
সালটা ১৯৭৯, সুহাগ নামের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ছবিতে অভিনেতার সাথে কাজ করেছিলেন শশী কাপুর, রেখা, পারভীন ববির মত তারকারা। ছবিটি নির্দ্বিধায় সুপারহিট হয়েছিল। মনমোহন দেশাইয়ের পরিচালিত এই ছবিটি সেই সময়েই ঐতিহাসিক সাফল্য পাওয়া স্বল্প সংখ্যক ছবির মধ্যে অন্যতম ছিল।