লকডাউনের সময় একজন বলিউড খলনায়ককে একেবারে হিরো রূপে দেখেছিল গোটা ভারতবর্ষ। সিনেমার কায়দাতেই একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিককে পৌঁছে দেন বাড়িতে। স্টার ক্রিটিকদের মতে, তাঁর আরও একটি বিশেষ গুন বলিউড (Bollywood) হোক বা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সবেতেই একাধারে কাজ করছেন সনু। বলিউডে বেশি পরিচিতি পেলেও তিনি অভিনয় কিন্তু শুরু করেছিলেন দক্ষিণেই। খলনায়কের চরিত্রই ছিল সনুর বিশেষত্ব। তাতেই নাকি বেশী খুশি ছিলেন সোনু, অন্তত বাজে হিন্দি ছবি তো করতে হত না।
সম্প্রতি তেলেগু ছবি ‘আচার্য’তে অভিনয় করেছেন সোনু। সেখানেও তিনি একেবারে কূটনৈতিক খলনায়ক। তবে বলিউডকে যে তিনি ভুলে গিয়েছেন তেমনটাও নয়। বলিউড ফিটম্যান অক্ষয় কুমারের ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন সোনু। কবি চাঁদ বরদাইয়ের মত তেজস্বী চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
বিতর্ক এড়িয়ে যে তারকারা দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম সোনু সূদ (Sonu Sood)। কিন্তু হঠাত সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি কেন বললেন যে বলিউডের স্ক্রিপ্ট বাজে। তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই চিত্রনাট্য নিয়ে একটু খুঁতখুঁতে। সে তামিল, তেলেগু ছবিই হোক বা হিন্দি। জঘন্য হিন্দি ছবি করার থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। নয়তো এমন একটা সময় আসে যখন মনে হয় যে শুধু একটা বড় ছবিতে মুখ দেখাতে হবে বলেই অভিনয় করছি। দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রি ওই পরিস্থিতি থেকে আমাকে দূরে রাখে।”
এদিকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ছবিগুলির একঝুড়ি প্রশংসা করেছিলেন সোনু। তদানিন্দন সময়ে সাউথ ইন্ডাস্টির সব ছবি ব্লকবাস্টার হিট হয়েছে। আর আর আর, কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ এর মতো ছবির প্রশংসা করে সোনু। এখানেই থামেননি তিনি আরও বলেছেন, তামিল ছবি দেখে ভবিষ্যতে হিন্দি ছবির ধরনধারণও বদলে যাবে।
কিছুদিন আগে বলিউড ও দক্ষিণী ছবির বিবাদের মাঝে মুখ খুলেছিলেন সোনু। তিনি বলেছিলেন, “শুধুমাত্র হিন্দিকেই ভারতের রাষ্ট্রভাষা বলা যায় না। ভারতের শুধু একটাই ভাষা আছে। সেটা হল বিনোদন। আপনি কোন ইন্ডাস্ট্রির তাতে কিছুই যায় আসে না। আপনি মানুষকে বিনোদন দিতে পারলে তারাও আপনাকে ভালবাসা, সম্মান দেবে। শুধুমাত্র ভাল সিনেমাগুলোই মানুষ গ্রহণ করে।”