বলিউডের (Bollywood) ‘গাঙ্গুবাঈ’ (Gangubai) আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। সময়ের সাথে সাথে পরতে পরতে যেন এই অভিনেত্রীর অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার পূর্ণ হচ্ছে ক্রমশ। একসময় কারণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ সিনেমার যে নবাগতা অভিনেত্রী আলিয়া ভাট এর সাধারণ জ্ঞান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হতো তুমুল ট্রোলিং তার সাথে আজকের নতুন মা তথা কাপুর পরিবারের পুত্রবধূর মধ্যে যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
যেন মা হওয়ার সাথে সাথে জীবনের এক নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছেন অভিনেত্রী। বদলে গিয়েছে তার মানসিকতা, বিচার বুদ্ধি, জীবনবোধ। সবকিছু মিলিয়ে এ যেন এক অন্য আলিয়া। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালটা ছিল অভিনেত্রীর কাছে এক কথায় অসাধারণ। এই বছর থেকে তিনি কি পাননি! শেষ বছর অভিনেত্রীকে দিয়েছে দুহাত ভরে। বলতে গেলে এই ২০২২ সালে আলিয়া ছিলেন নিজের ক্যারিয়ারের একেবারে পিক পয়েন্টে।
তবে শুধু অভিনয় নয় ব্যক্তিগত জীবনেও একের পর এক এসেছে বিরাট বদল। প্রসঙ্গত চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) সাথে বিয়ে এবং তারপরেই সন্তান রাহা (Raha)-র জন্ম। এছাড়া এই বছরেই ‘হার্ট অফ স্টোন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবার হলিউডের পা রেখেছেন বলিউডের ‘গাঙ্গুবাঈ’। আলিয়ার নিজের কথায় ‘২০২২ সাল আমার জীবনে খুব শুভ হয়ে এসেছে, ঠিকই। অনেকটা সিনেমার মতো। ‘গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’ হোক বা ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, এক একটি করে ধাপ। তার উপর আমার প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘ডার্লিংস’, সবই আশানুরূপ হয়েছে। যদি না-ও হত, তা হলেও আমি আবার পরিশ্রম করতাম। ভাল হয়েছে বলেও করব। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।”
প্রসঙ্গত মাত্র ২৯ বছর বয়সে মা হয়েছেন আলিয়া। সাফল্যের চূড়ায় থেকেও বিয়ে এবং সন্তান নেওয়ার মত দুটো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেকিয়েছেন আলিয়া। বলিউড অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে তো বটেই এখনকার নিউ-এজ যে কোন অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেই তা এক কথায় বিরল ঘটনা। কিন্তু সবটাই কি পরিকল্পিত ছিল অভিনেত্রী আলিয়ার কাছে? এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া অভিনেত্রীর জবাব মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
দায়িত্ববোধে পূর্ণ একজন নতুন মা আলিয়ার কথায় ‘ঠিক বা ভুল বলে কিছু হয় না। আমার জন্য যা ঠিক, তা হয়তো অন্য কারও জন্য ভুল। আমি সব সময় হৃদয়ের কথা শুনি। তাই, হ্যাঁ… যখন কেরিয়ারের সবচেয়ে ভাল সময় চলছিল, তখনই বিয়ে করেছি। সন্তানের জন্মও দিয়েছি। কিন্তু মা হলে কেরিয়ার খারাপ হয়ে যায়, কে বলেছে? আর যদি হয়ও, হোক। সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কখনও আফসোস করব না। এ তো প্রাকৃতিক ব্যাপার। আমার তো মনে হয়, এটাই সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত। মা হয়ে জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছি’।
সেইসাথে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর আলিয়ার সংযোজন ‘আমি আমার কাজকে ভালবাসি, কিন্তু নিজের জীবন ও নিজের পরিবারকে তার থেকেও অনেক বেশি ভালবাসি। আর এই দুইয়ের মধ্যে ব্যালান্স করেই চলতে চাই আমি। মনে যা আসে তাই করে যাও’।