বলিউডে নেপোটিজম (Nepotism in Bollywood) বিতর্ক সবসময় চলতেই থাকে। কিছু কিছু তারকা শুধুমাত্র বাবা-মায়ের পরিচয়ের জন্য সুযোগ পান, অভিনয় না পারলেও একের পর এক ছবিতে তাঁদের নেওয়া হয়- এমন বহু কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। তবে অভিনয় না জানা সেই স্টারকিডদের তালিকায় একেবারেই নাম থাকবে না আলিয়া ভাটের (Alia Bhatt)। দুর্দান্ত অভিনয় তাঁর। তবুও বারবার নেপোটিজম নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
যোগ্যতা আছে এবং নিজেকে বারবার প্রমাণ করা সত্ত্বেও নেপোটিজম নিয়ে ক্রমাগত তাঁকে খোঁচা দেওয়া আর একেবারেই মানতে পারেন না আলিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। কীভাবে এই পরিস্থিতি সামলান, তাও জানিয়েছেন পরিচালক মহেশ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজদানের কন্যা।
‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ ছবির মাধ্যমে বলিউড ডেবিউ হয়েছিল আলিয়ার। এরপর থেকে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘হাইওয়ে’, ‘রাজি’র মতো ছবি। সদ্য মুক্তি পেয়েছে মহেশ কন্যা অভিনীত ‘ডার্লিংস’। বদ্রুর চরিত্রে প্রশংসিত হয়েছে আলিয়ার অভিনয়।
বলিউডের একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করা আলিয়াকে নেপোটিজম প্রসঙ্গে ট্রোলিং হওয়া নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি শুধুমাত্র আমার ছবির মাধ্যমেই আমি এই কথা বন্ধ করতে পারব। তাই প্রত্যুত্তর দিও না, কষ্ট পেও না। অবশ্যই আমারও একটা সময় খারাপ লেগেছিল। তবে যে কাজকে তুমি ভালোবাসো এবং সম্মান করো, সেটার জন্য এইটুকু দাম দিতেই হয়। আমি গাঙ্গুবাঈয়ের মত সিনেমায় কাজ করেছি। তাই শেষ হাসি কে হাসছে? যতদিন পর্যন্ত আমি আবার আমার পরবর্তী ফ্লপ সিনেমা না দিচ্ছি, ততদিন অবধি আমিই হাসছি’।
আলিয়া সংযোজন, ‘আমি কথার মাধ্যমে নিজেকে বোঝাতে পারব না। আমায় পছন্দ যদি না হয়, আমার সিনেমা দেখো না। আমি এই বিষয়ে সত্যিই কিছু করতে পারব না। মানুষের কিছু বলার থাকতেই পারে। তবে আশা করি আমি আমার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেব যে আমি এই জায়গায় থাকার যোগ্য’।
২৯ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী স্টারকিড হলেও অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন। শীঘ্রই ‘হার্ট অফ স্টোন’এর মাধ্যমে হলিউডেও পা রাখতে চলেছেন আলিয়া। এছাড়াও এই মুহূর্তে তাঁর হাতে ‘রকি অউর রাণী কি প্রেম কাহিনী’ রয়েছে।