বাহুবলী সিনেমার হাত ধরে গোটা বিশ্ব দেখেছিল পরিচালক এস এস রাজামৌলির (SS Rajamouli) রাজকীয় উত্থান। আর এখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নতুন নাম হিট মেশিন। অনুরাগীদের কথায় রাজামৌলি যে ছবিতেই হাত দেবেন তাই রেকর্ড তৈরি করবে। আর সত্যিই হচ্ছেও তাই। ভারতের সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় থাকা প্রথম তিনটি সিনেমাই এখন রাজামৌলি পরিচালিত।
আর সদ্য মুক্তি পেয়েছে রাজামৌলি পরিচালিত বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা আর আর আর। এই ছবিটি মুক্তির ৫ দিনেই ৬০০ কোটি আয় করে ফেলেছে যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে এই ছবিটি এবার ২ হাজার কোটি আয়ের পথে হাঁটছে। তবে যদি ‘আরআরআর’ ‘বাহুবলী’ সিরিজকেও টপকে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙবেন পরিচালক।
তেলুগু স্বাধীনতা সংগ্রামী আল্লুরি সীতারামা রাজু এবং কোমারাম ভীমের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই পিরিয়ড ড্রামাতে রামারাজুর হবু স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গিয়েছে বলিউডের গঙ্গুবাই আলিয়া ভাটকে। রাজমৌলিরর এই সিনেমার হাত ধরেই দক্ষিণী সিনেমায় যাত্রা শুরু করেছেন বলিউড অভিনেত্রী। কিন্তু এই সিনেমায় মাত্র ১০ মিনিটের একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছে আলিয়াকে। যা এই সিনেমার অন্য দুই নায়ক রামচরণ এবং জুনিয়র এন টি আর এর কাছে বেশ ফিকেই মনে হয়েছে।
এরই মধ্যে দেখা যায় গোটা দেশ যখন ট্রিপল আর এর সাফল্য উদযাপনে মেতে উঠেছে তখনই পরিচালক রাজমৌলিকে নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে আনফলো করে দিয়েছেন আলিয়া। আর আর আর এর প্রচারের সমস্ত ছবিও এটাও। এরপরেই জল্পনা তৈরি হয় সিনেমায় কম গুরুত্ব দেওয়ায় রাজামৌলির সাথে আলিয়ার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এমনকি এমনও শোনা যায় আলিয়া নাকি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন ‘দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি আমাদের আপন মনে করে না। সিনেমাটির শুরু থেকে অন্য তারকাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করেছি। পর্দায় আমাকে যতটা দেখানো কথা ছিল ততটা দেখানো হয়নি। যা একজন অভিনেত্রী হিসেবে মানতে কষ্ট হচ্ছে।’
এরপরই ক্রমশ এবিষয়ে বিস্তর জলঘোলা শুরু হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে জল্পনা উড়িয়ে দেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট নিজেই । তিনি স্পষ্ট লেখেন “আমি শুনলাম সকলে বলাবলি করছেন, আমি নাকি ‘আরআরআর’ পোস্ট মুছেছি আমার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। কারণ হিসেবে বলেছেন, আমি নাকি টিমের উপর বিরক্ত। আমি সকলকে অনুরোধ করছি, এই ধরনের মনগড়া ধারণা ত্যাগ করুন। আমি মাঝেমধ্যে পুরনো পোস্ট ডিলিট করি যাতে আমার অ্যাকাউন্ট সাজানো গোছানো দেখতে লাগে। ‘আরআরআর’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হওয়া আমার জন্য পরম পাওয়া। এটা আমার সৌভাগ্য, যে ওই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ছবির অংশ হতে পেরেছি। ছবিতে সীতার চরিত্রটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। রাজামৌলি স্যরের পরিচালনায় কাজ করতে পেরে আমি দারুণ খুশি। রাজামৌলি স্যর ও টিম অনেক কষ্ট করে ছবিটি জীবন্ত করে তুলেছেন। আর এই ধরনের গুজবে তা প্রভাবিত হবে, তা আমি একেবারেই চাই না।”