চলতি বছরের শুরুর দিকেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হয়েছে জি বাংলার সারেগামাপায়ের গানের সফর। শুরু থেকেই এই গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে গোটা বাংলার মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন পাহাড়ি ছেলে অ্যালবার্ট কাবো। প্রসঙ্গত এতদিনে সকলেই নিশ্চই জানেন এতো সুন্দর গানের গলার অধিকারী হলেও কাবো কোনোদিন প্রথাগত প্রশিক্ষণ নেননি।
প্রসঙ্গত এই গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে কাবো কালিম্পংয়ে টুরিস্ট গাইডের কাজ করতেন। এরপর সারেগামাপা তে অংশগ্রহণ করেই রাতারাতি ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় কাবোর। ঈশ্বর প্রদত্ত গানের গলার ওপর ভর করেই পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রতি
তবে ফাইনালে কাবোকে না জিতিয়ে পলাশকে জেতানোয় সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কাবোর অনুরাগীরা। যা নিয়ে কম লেখালেখি হয়নি সংবাদমাধ্যমেও। প্রসঙ্গত সারেগামাপা শেষ হওয়ার পর থেকে মাঝে পার হয়েছে বেশ কিছু সময়। তারপর জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডে এবং দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে গান গাইতে দেখা গেছে কাবোকে।
তবে রবিবার কাবো প্রথম এসেছিলেন দিদি নাম্বার ওয়ানের প্রতিযোগী হয়ে। এই মজার খেলায় তিনি অংশ নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী পূজা ছেত্রীর সাথে। সেখানেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়ে ব্যক্তিগত জীবনের নানান অজানা কথা শেয়ার করে নিয়েছিলেন আলবার্ট কাবো। নিজের মুখেই শোনান পূজার সাথে তাঁর ফিল্মি প্রেম কাহিনী।
এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চেই জানা যায় কালিম্পংয়ের ছেলে অ্যালবার্ট কাবো প্রেমে পড়েছিলেন গ্যাংটকের মেয়ে পূজার। এক বিয়ে বাড়িতে গিয়েই তাদের আলাপ হয়েছিল। পূজা জানান তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সে সময় বিয়ে বাড়িতে চুটিয়ে নাচ করছিলেন। যা দূর থেকেই দাঁড়িয়ে দেখছিলেন কাবো। পূজার কথায় সেসময় তার দিক দিয়ে চোখে সরছিল না কাবোর ।
এরপর থেকেই নাকি তাদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়।তবে শুনলে অবাক হবেন সে সময় কোন রোজগার না করলেও সবে স্কুলের গণ্ডি পেরোনো পূজার সাথে পালিয়ে বিয়ে করে নিয়েছিলেন কাবো। ২০১৬ সালের সেই দিনটা ছিল পূজার স্কুলের শেষ দিন। স্কুল ইউনিফর্ম পরেই মাঝ রাস্তায় কাবোর হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করতে চলে গিয়েছিলেন পূজা। তখন কাবো কোনো রোজগার না করলেও সেই কঠিন পরিস্থিতিতে, সেই স্ট্রাগলের সময়টায় পূজাকে নিজের পাশেই পেয়েছিলেন কাবো।
কিন্তু সেসময় কাবো কোন কাজ করতেন না শুনে এদিন সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি তাঁর কাছে অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন ‘বউকে খাওয়াবে কি সেটা না ভেবে বিয়ে করে ফেললে? একথা শুনে লাজুক কাবোর জবাব ‘বাড়িতে তো ছিল অনেক কিছু খাবার’। জানা যায় তারা দুজনেই নাকি কাজের খোঁজে ব্যাঙ্গালোর চলে গিয়েছিলেন। সেখানে কাবো ছিলেন দু’বছর আর পূজা ছিলেন পাঁচ বছর। গত বছরেই কাবো আর পূজার কোল আলো করে এসেছে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান।একবার সারেগামাপা এর মঞ্চেও মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন কাবোর স্ত্রী।