সাম্প্রতিক অতীতে বলিউডের একাধিক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছেন একাধিক সুপারস্টারের সিনেমারও। বিশেষ করে অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) তো পরপর দু’টি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই এবার এক ধাক্কায় অভিনেতার পারিশ্রমিক (Fees) কমিয়ে দিলেন তাঁর আগামী ছবির নির্মাতা।
অক্ষয়ের হাতে থাকা প্রোজেক্টের মধ্যে একটি হল আলি আব্বাস জাফরের ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ (Bade Miyan Chote Miyan) ছবিটি। বছরের শুরুতেই পূজা এন্টারটেইনমেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘বড়ে মিয়াঁ’ হবে অক্ষয় এবং ‘ছোটে মিয়াঁ’র চরিত্রে দেখা যাবে টাইগার শ্রফকে। তবে বছরের মাঝখানে এসেই অনেক কিছু বদলে গেল। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অক্ষয়-সহ ছবির কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক।
শোনা যাচ্ছে, অক্ষয়-টাইগার-আলিরা যে টাকার অঙ্কে ছবি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, সেটি এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ বলিউডের এই মন্দার বাজারে বেশি বিনয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন ছবির নির্মাতারা।
অক্ষয়-টাইগারের শেষ ছবিগুলিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বলিপাড়ার ‘খিলাড়ি’র শেষ দুই সিনেমা ‘বচ্চন পাণ্ডে’ এবং ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ একেবারেই চলেনি। টাইগারের ‘হিরোপন্তি ২’এরও একই দশা। তাই বাধ্য হয়েই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ছবির বাজেট।
ছবির সঙ্গে জড়িত সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রথমে ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ ছবির জন্য ১৪৪ কোটি টাকা পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন অক্ষয়। কিন্তু এবার সেটি ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইরকমভাবে টাইগার এবং আলি চেয়েছিলেন ৪৫ কোটি টাকা এবং ২৫ কোটি টাকা। তাঁদের পারিশ্রমিকও ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ছবির নির্মাতাদের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, কেবল টাকার জন্য ছবির কাজ বন্ধ করা হয়নি। এর পিছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে। পাশাপাশি অভিনেতাদের সঙ্গে হওয়া আর্থিক চুক্তি কীভাবে ফাঁস হল তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন নির্মাতারা।
‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’র মুক্তির তারিখের কথা বলা হলে, ছবিটি আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। পরের বছর জানুয়ারি মাস থেকে ছবির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।