• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

ভারত না কানাডা, কোনটা বেশি প্রিয়? নেটপাড়ায় বোমা ফাটালেন ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার

বলিউডের (Bollywood) নামী অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar) নিজের নাগরিকত্ব (Citizenship) নিয়ে বহুবার খোঁটা শুনতে হয়েছে। ভারতের নাগরিক নন বলে তাঁর দেশপ্রেমকে ‘লোক দেখানো দেশভক্তি’ বলে কটাক্ষও করেছেন নেটিজেনরা। সম্প্রতি নিজের আসন্ন ছবি ‘সেলফি’র প্রচারে গিয়েও ‘নাগরিকত্ব’ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। তখনই এই বিষয়ে মুখ খোলেন ‘খিলাড়ি’। কোন পরিস্থিতিতে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন সেকথাও জানান সকলকে।

গত বছর ব্যাক টু ব্যাক ফ্লপের সম্মুখীন হওয়ার পর নতুন বছরে ‘সেলফি’র প্রচারে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছেন অক্ষয়। শুক্রবার অর্থাৎ আজ প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করেছে এই সিনেমা। এখনও ছবির প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন আক্কি। সম্প্রতি যেমন একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন অভিনেতা। সেখানেই তাঁকে বিতর্কিত নাগরিকত্ব ইস্যু (Citizenship controversy) নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

   

Akshay Kumar, Akshay Kumar on citizenship controversy

সম্প্রতি আজ তকের ‘সিধি বাত’ অনুষ্ঠানে অক্ষয়কে তাঁর কানাডিয়ান নাগরিকত্ব নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। জবাব দেওয়ার সময় অভিনেতা বলেন, ভারতের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। তাঁর কাছে ভারতই সব। পাশাপাশি এও জানান, তিনি ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট বদলানোর জন্য আবেদনও করে ফেলেছেন।

অক্ষয়ের কথায়, ‘আমার কাছে ভারতই সব… আমি যা অর্জন করেছি, যা আয় করেছি সব কিছু এখান থেকে। আমি ভাগ্যবান যে ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগটুকু পেয়েছি। তবে মানুষ না জেনে যখন কিছু বিষয়ে মন্তব্য করে তখন সত্যিই খারাপ লাগে’।

Akshay Kumar, Akshay Kumar citizenship, Akshay Kumar citizenship controversy

এরপরই অক্ষয় বলেন, নব্বইয়ের দশকে তাঁর ১৫টিরও বেশি সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সেই সময়ই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ‘সেলফি’ অভিনেতার কথায়, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার সিনেমাগুলি চলছে না এবং বেঁচে থাকতে গেলে একজন মানুষকে কাজ করতে হবে। আমি ওখানে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। আমার বন্ধু কানাডায় ছিল এবং ও বলেছিলেন ওখানে চলে যেতে। আমি আবেদন করেছিলাম এবং সুযোগও পেয়ে যাই’।

অক্ষয়ের সংযোজন, ‘আমার হাতে ২টি ছবি ছিল যেগুলি তখনও রিলিজ হয়নি। আমার ভাগ্য যে সেই দু’টি ছবিই সুপারহিট হয়ে যায়। এরপর আমার বন্ধু বলে, ‘ফিরে যাও। আবার কাজ শুরু করো’। সেরপর আস্তে আস্তে আমার কাছে আবার সিনেমার অফার আসা শুরু হয়। তবে আমি পাসপোর্টের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। আমি কখনও ভাবিনি আমার পাসপোর্ট পরিবর্তন করার কথা। কিন্তু এখন আমি পরিবর্তন করব’। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান করার পর অক্ষয়ের নাগরিকত্বের বিষয়টি সামনে আসে এবং এরপর থেকেই এই নিয়ে বিতর্ক চলছে।