বলিউডের অন্যতম সেরা জুটিদের কথা উঠলে অজয়-কাজল-এর নাম উঠে আসাটা খুবই স্বাভাবিক। সে ‘দিল ক্যায়া কারে’ হোক বা ‘ইশক’, নব্বইয়ের দশকে অজয় আর কাজলকে একে-অপরের বিপরীতে দেখতে পছন্দই করতেন দর্শকরা।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কাজল জানিয়েছেন ‘হলচল’ সিনেমার শ্যুটিংয়ে অজয় দেবগণের সঙ্গে প্রথম দেখার ঘটনাটি। কাজল জানান, “আমি সেটে তৈরি হচ্ছিলাম এবং অজয়ের সম্বন্ধে গসিপ করছিলাম। মানে ওই নিন্দাই আর কি! তখনই আমি আমার এক সহকর্মীকে আমার বিপরীতে কোন অভিনেতা থাকবেন জিজ্ঞাসা করাতে জানতে পারি সেই অজয়, যিনি এতক্ষণ ঘরের এককোণে চুপচাপ বসেছিলেন।” প্রসঙ্গত, অজয়-কাজল জুটির রুপোলি পর্দায় প্রথম সিনেমা ‘রাজু চাচা'(২০০০)।
‘রিল লাইফ’ থেকে ‘রিয়েল লাইফ’ জুটি হয়ে ওঠার গল্পও সকলের সামনে আনেন কাজল। তাঁর কথায়, “আমাদের স্বভাব একে-অপরের বিপরীত হওয়া সত্ত্বেও আমরা ভালো বন্ধু হয়ে উঠি। আমরা দু’জনেই তখন অন্য সম্পর্কে ছিলাম। অজয় যেমন আমার সম্পর্কের সমস্যা মেটাত, আমিও ওকে ওর প্রেমিকার সমস্যায় সাহায্য করতাম। তারপর আমাদের দু’জনের সম্পর্কই ভেঙে যায় এবং আমরা তারপর থেকে প্রায় ৪ বছর আমরা ডেট করি।”
বলিপাড়ার খবর বলছে, অজয়ের বাড়ি থেকে তাঁদের বিয়ের সম্বন্ধ মেনে নিলেও কাজলের বাড়ি থেকে মৃদু আপত্তি ওঠে। কাজলের বাবার দাবি ছিল যাতে কাজল তাঁর কেরিয়ারের দিকেই মন দেন। কিন্তু প্রায় ৪দিন কথা বলা বন্ধ রাখার পর অবশেষে পাত্রের ব্যাপারে জানতে পেরে কাজলের সাথে পুনরায় কথা বলা শুরু করেন তাঁর বাবা।
অজয় দেবগণ চিরকালই তাঁদের সম্পর্ককে সকলের সামনেই সমান মান্যতা দিয়ে এসেছেন। কাজলের সাহচর্যে যে তাঁরা দু’জন্যেই সুখে আছেন, সে কথা জানেন ফ্যানমহলের সকলেই। তাঁরা জানিয়েছেন, “আমরা দু’জনেই একে-অপরকে স্পেস দিই, ফলে আমাদের সম্পর্ক এতটাই দৃঢ় হয়ে উঠেছে যে আমাদের মধ্যে কখনও জটিলতার সৃষ্টি হয় না।”
কাজল জানিয়েছেন যে, “এমনও হয়েছে আমরা এক ঘরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে রয়েছি। অথচ একটাও কথা বলিনি।” এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে, সম্পর্কের ভিত মজবুত হলে কথা হওয়া বা না-হওয়ার উপর কিছু নির্ভর করে না। মাঝেমধ্যেই কিছু না বললেও যে অজয় তাঁর সমস্যাগুলো ধরে ফেলেন, সে কথাও অকপটে জানিয়েছেন কাজল।