• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

এইভাবেই হাত ধরে সারা জীবন বেঁচে থাকব! ঐন্দ্রিলার ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে বার্তা দিদি ঐশ্বর্যর

টানা ২০ দিনের লড়াই থেমেছে গত রবিবার। সেদিন বেলা ১২:৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী (Tollywood actress) ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। রেখে গেলেন মা, বাবা, দিদি, তাঁর ‘বেঁচে থাকার কারণ’ সব্যসাচী চৌধুরী এবং দুই পোষ্যকে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। ধীরে ধীরে সবাই নিজের ছন্দে ফিরে গিয়েছে। কিন্তু ঐন্দ্রিলার পরিবারের কাছে এখনও সময়টা যেন সেই রবিবারেই আটকে। বারবার মনে ভিড় করে আসছে অভিনেত্রীর একাধিক স্মৃতি।

রবিবার বেলায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর সেদিন সন্ধ্যাতেই সম্পন্ন হয় ঐন্দ্রিলার শেষকৃত্য। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে অভিনেত্রীর বাবার সঙ্গেই মুখাগ্নি করেছেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ সব্যসাচীও। পর্দার ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’ ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর কিছু সময় পরেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেন। ইনস্টগ্রাম প্রোফাইলও সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে অভিনেত্রীর দিদির প্রোফাইল জুড়ে শুধুই রয়েছে তাঁর ‘ছোট্ট বুনু’।

   

Aindrila Sharma childhood pictures

ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর দিদি ঐশ্বর্য শর্মা (Aishwarya Sharma) নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বোনের একাধিক ছবি। ভিডিও শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে অভিনেত্রীর ছেলেবেলার বেশ কিছু ছবিও রয়েছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে দুই বোন। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে, ঐশ্বর্য এবং ঐন্দ্রিলাকে দু’পাশে নিয়ে মাঝখানে হাসি মুখে বসে রয়েছেন তাঁদের মা শিখা শর্মা।

ঐশ্বর্যর সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইল পিকচারেও তাঁর এবং ঐন্দ্রিলার ছেলেবেলার একটি মিষ্টি ছবি রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গোলাপি রঙের একটি জামা পরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐশ্বর্য। পাশে লাল টুকটুকে একটি জামা পরে দাঁড়িয়ে পুঁচকে ঐন্দ্রিলা। ছোট বোনের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে দিদি।

Aindrila Sharma childhood pictures

বোনের সঙ্গে ছেলেবেলার এই ছবি শেয়ার করে ঐশ্বর্য লিখেছেন, ‘আমার ছোট্ট বুনু… এই ভাবেই সারা জীবন দু’জন দু’জনের হাত ধরে বেঁচে ছিলাম, আছি এবং থাকবো’। সেই সঙ্গেই যোগ করেছেন একটি হৃদয় ও চুম্বনের ইমোজিও।

রবিবার হাসপাতাল থেকে ঐন্দ্রিলার দেহ সবার প্রথমে তাঁর কুঁদঘাটের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চোখে জল নিয়ে ‘ছোট্ট বুনু’কে শেষবারের মতো সাজিয়ে দিয়েছিলেন দিদি ঐশ্বর্যই। লাল শাড়িতে সাজানো হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কাঁদতে কাঁদতে বোনের গালে আলতো করে ব্লাশ লাগিয়ে দেন ঐশ্বর্য। কপালে পরিয়ে দেন টিপ, ঠোঁটে ছুঁইয়ে দেন লিপস্টিক। নায়িকার মতো সেজেই জীবনের এই রঙ্গমঞ্চ থেকে চিরবিদায় নেন ‘জিয়ন কাঠি’ অভিনেত্রী।