বলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। নিজের কেরিয়ারে একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। নায়িকার ঝুলিতে রয়েছে ‘দেবদাস’ থেকে শুরু করে ‘চোখের বালি’র মতো ছবি। বিনোদন দুনিয়ায় তাঁর অবদানের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক বিশেষ সম্মানের ভূষিত হয়েছেন অ্যাশ।
২০০৯ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী (Padma Shri) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন ঐশ্বর্য। দেশের চতুর্থ অসামরিক পুরস্কার এটি। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে বলিউডের সর্বকনিষ্ঠ শিল্পী হিসেবে এই শিরোপা উঠেছিলেন অভিষেক বচ্চনের ঘরণীর মাথায়। গর্বিত করেছিলেন রাই এবং বচ্চন পরিবারকে। বৌমা এত বড় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর অমিতাভ এবং জয়া বচ্চনের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল জানেন?
২০০৭ সালে অমিতাভ পুত্র তথা অভিষেকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঐশ্বর্য। টরেন্টোয় ‘গুরু’র প্রিমিয়ারের পর অভিনেত্রীকে প্রেম প্রস্তাব দেন অভিষেক। সেই বছরই সাত পাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে। অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন বচ্চন পরিবারের বৌমা।
ঐশ্বর্য পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় তাই স্বভাবতই গর্বে বুক ভরে গিয়েছিল বচ্চন পরিবারের সকলের। ব্যতিক্রম নন অমিতাভ এবং জয়াও। ২০০৯ সালেই এক সাক্ষাৎকারে পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার পর শ্বশুর শাশুড়ির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল তা ফাঁস করেছিলেন অ্যাশ।
ঐশ্বর্য বলেন, ‘পদ্মশ্রী পাওয়া পেশাগতভাবে এক দারুণ অনুভূতি। পরিচিত মানুষরা বলছেন, ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে কম বয়সী মানুষ হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন। আমি এই জন্য আমার মা-বাবার কাছে প্রচণ্ড ঋণী। যখন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বলেছিলেন, পরিবারের পঞ্চম পদ্মপুরস্কার প্রাপককে স্বাগত জানান, সেই মুহূর্তটি খুব বিশেষ ছিল’। একইসঙ্গে স্বামী অভিষেকেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন নায়িকা।
এখনও পর্যন্ত বচ্চন পরিবারে মোট ৬টি পদ্মপুরস্কার রয়েছে। অমিতাভ বচ্চন ১৯৮৪ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন। ২০০১ সালে পান পদ্মভূষণ। ১৯৭৬ সালে তাঁর পিতা, কবি হরিবংশ রায় বচ্চন পদ্মভূষণ পান। ১৯৯২ সালে অমিতাভ ঘরণী জয়া পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান ঐশ্বর্য এবং ২০১৫ সালে অমিতাভ পদ্মবিভূষণ পান। অভিষেক বাদে বচ্চন পরিবারের বাকি প্রত্যেক ব্যক্তি পদ্মপুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।