বন্ধুত্ব যেখানে থাকে, সেখানে যে ঝগড়া, মনোমালিন্য থাকবে তা খানিক জানা কথাই। বলিউডেও এমন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন, যারা এক সময় খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গেই নানান কারণে খারাপ হয়েছে সেই সম্পর্ক। এমনই একটি বন্ধুত্ব ছিল বি টাউনের দুই সুন্দরী নায়িকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) এবং রানী মুখার্জির (Rani Mukerji)।
বলিপাড়ার এই দুই সুন্দরী নায়িকা যে একসময় ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ছিলেন তা অনুরাগীদের অজানা নয়। কিন্তু এরপর যে তাঁরা একে অপরের ‘চরম শত্রু’ হয়ে যান, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। আর এর নেপথ্যে ছিলেন খোদ শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) এবং সলমন খান (Salman Khan)।
ঐশ্বর্য-রানীর সম্পর্কের অবনতি হয় ‘চলতে চলতে’ ছবি ঘিরে। এই ছবিতে প্রথমে কাজ করার কথা ছিল অ্যাশের। কিন্তু তাঁকে বদলে রানীকে নেওয়া হয়। শোনা যায়, অভিনেত্রীকে না জানিয়েই তাঁকে ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তিনি।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, ঐশ্বর্যের চর্চিত প্রেমিক সলমন নাকি একবার ‘চলতে চলতে’ ছবির সেটে কিছু জিনিস ভাঙচুর করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভাইজান নাকি সেটে ঝামেলাও করেছিলেন। যা একেবারেই ভালোভাবে নেননি ছবির নির্মাতারা। সেই কারণেই অভিনেত্রীকে সরিয়ে রানীকে নেন তাঁরা।
শোনা যায়, ঐশ্বর্যকে না জানিয়ে সরিয়ে তাঁরই বেস্ট ফ্রেন্ড রানীকে নেওয়ায় অভিনেত্রী বেশ ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। পাশাপাশি ছবির নায়ক শাহরুখ খান, যিনি আবার ঐশ্বর্যের ভালো বন্ধু ছিলেন, তিনিও নাকি অ্যাশকে সরিয়ে দেওয়ার কথাই বলেছিলেন। দুই বন্ধুর এই কাজ নাকি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি নায়িকা।
এই ঘটনার পর রানীর সঙ্গে ঐশ্বর্যের সম্পর্ক একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এমনকি রানীকে নিজের বিয়েতেও ডাকেননি অভিনেত্রী। অবশ্য এক্ষেত্রে আবার শোনা যায়, অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে রানীর একসময়কার চর্চিত প্রেমের কারণে নাকি তাঁকে অভিষেক এবং ঐশ্বর্যের বিয়েতে ডাকা হয়নি।
এরপর ২০১৪ সালে যশ রাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বঙ্গ তনয়া রানী। তবে ব্যক্তিগত জীবনে যাই হোক না কেন, ঐশ্বর্য এবং রানী কিন্তু কোনোদিন একে অপরকে বদনাম করেননি। কিংবা একে অপরের বিষয়ে খারাপ কথা বলেননি। একবার এক সাক্ষাৎকারের সময় রানীকে তাঁর প্রিয় অভিনেত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। জবাবে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র টিনা বলেছিলেন, ‘আমার সময়কার, ঐশ্বর্য এবং প্রীতি জিন্টা’।