বাংলার ক্যান্সার জয়ী জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। মারণ রোগ ক্যান্সারকে (Cancer) হারিয়ে তিনি যেভাবে কামব্যাক (Comeback) করেছেন তাতে অসংখ্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি। একবছরেরও বেশী সময় ধরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়েই ক্যান্সারের সাথে রীতিমতো পাঞ্জা লড়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
কথায় আছে ‘অন্ধকারের পরেই আলো আসে জীবনে’। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল একই ঘটনা। খারাপ সময় কাটিয়ে বহুদিন আগেই জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই টুকটাক কাজ করছেন টেলিভিশনের পর্দায়।পা রাখতে চলেছেন ওয়েব সিরিজের দুনিয়াতেও। এরই মধ্যে সম্প্রতি বিসর্জনের দিনেই হইচই প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজ ‘বোধন’-এর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন অভিনেত্রী।
সেখানেই হাতে একটি পোস্টার নিয়ে বিশেষ বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। হলুদ রঙের শাড়ি পরা ঐন্দ্রিলার হাতে থাকা কাগজে লেখা ছিল ‘মা ডিভোর্সি হলে মেয়ে তো এরকম হবেই’। সেই সাথে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা ছিল ‘ওকে নট ওকে’। অভিনেত্রীর এই পোষ্টের কমেন্ট সেকশনে উপচে পড়েছিল অসংখ্য মানুষের মন্ত্যব্য।
তবে সকলের মধ্যে নজর কেড়েছিল উত্তম রায় নামে একজন ব্যক্তির কমেন্ট। তিনি ঐদ্রিলার পোস্টার কমেন্টে লিখেছিলেন ‘তবে কথাটা ১০০% ভুলও নয়’। এরপরেই সেই কমেন্টের স্ক্রিনশট নিয়ে অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটি পোস্ট করে লিখেছিলেন ‘আজ একটি পোস্ট করেছিলাম behalf of hoichoi. তাতে এই কমেন্টটি পেলাম। সত্যি মানসিকতা চেঞ্জ না হলে সমাজ চেঞ্জ হবে না। মায়ের বিসর্জন হতে না হতেই মাকে রাস্তায় টেনে আনা শুরু’।
এই পোস্ট নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, মানুষের মানসিকতা কতটা কঠিন সেটা দেখানোর জন্যই নাকি তিনি পোস্টটি করেছিলেন। অভিনেত্রী মনে করেন মানুষ হয়ত বদলাবে। তাঁর সাফ কথা ‘মা ডিভোর্সি হলে তো বাবাও ডিভোর্সি। সেটা উল্লেখ করা হয় না। মেয়েদের সফট টার্গেট মনে করা হয়।’ সেইসাথে ঐন্দ্রিলার সংযোজন, ‘২০২২ সালে দাঁড়িয়েও আমাদের এসব কথা শুনতে হয়। সিঙ্গল মাদারদেরও তো কত কথা শুনতে হয়’।