বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আয়োজিত হয়েছিল টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (Telly Academy Awards)। বাংলা টেলিভিশনের একাধিক তারকাকে সম্মানিত করার পাশাপাশি গতকালের অনুষ্ঠানে প্রয়াত অভিনেত্রীকে ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (Aindrila Sharma) মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। মেয়ের হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রীর মা-বাবা।
গতকালের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে গোটা টেলি ইন্ডাস্ট্রি একত্রিত হয়েছিল। সেখানেই ঐন্দ্রিলার মরণোত্তর সম্মান তুলে দেওয়া হয় মা শিখা শর্মার (Shikha Sharma) হাতে। মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণ করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর এক নামী সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কথা বলতে গিয়ে ধরে আসে ঐন্দ্রিলার মায়ের গলা।
শিখাদেবী স্পষ্ট বলেন, ‘পুরস্কার নিয়ে একটুও ভালোলাগেনি। এটা কি আমার মেয়েটার মরণোত্তর পুরস্কার পাওয়ার বয়স? খুব কষ্ট হচ্ছে। ওঁর বয়সকালে এমন সম্মান তো মঞ্চে উঠে ওঁর ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে আমাদের গিয়ে নিতে হলো। কী করে এই কষ্টটা কমবে বুঝতে পারছি না। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতার কোনও জবাব নেই’।
জানা গিয়েছে, গতকাল সম্মানিত হওয়ার পর রাতেই বহরমপুর ফিরে আসেন ঐন্দ্রিলার মা-বাবা। অভিনেত্রীর প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী এখনও শর্মা পরিবারের একজন। গতকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। ‘সব্য’কে সঙ্গে নিয়েই অনুষ্ঠান দেখেন ঐন্দ্রিলার মা-বাবা। এমনকি বাড়ি ফিরে তাদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়াও করেন সব্যসাচী। এরপর নিজের বাড়ি ফিরে যান তিনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৯দিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জীবনমৃত্যুর লড়াই করার পর গত ২০ নভেম্বর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ঐন্দ্রিলা। দেখতে দেখতে ৯ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ‘মিষ্টি’কে হারানোর যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারেনি অভিনেত্রীর পরিবার। অপরদিকে সব্যসাচীর জীবনেও নতুন কোনও মানুষ এসেছে বলে খবর আসেনি। আপাতত ‘রামপ্রসাদ’র কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছেন অভিনেতা।