মহামারিকালে বছরের শুরুতেই বাংলা বিনোদন জগতের ছটফটে, হাসিখুশি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবর মনখারাপ করে দিয়েছিল সকলের। আর সেই শুরুর দিন থেকেই জীবনের এই কঠিন লড়াইয়ে অভিনেত্রীর বাবা-মায়ের মতোই তাঁর হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছেন তাঁর প্রেমিক তথা সকলের প্রিয় ‘বামাক্ষ্যাপা’ ওরফে সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)।
মারণ রোগ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্যে তার বদল এলেও, মানসিক ভাবে তিনি এক্কেবারে ঝলমলেই থাকেন৷ ইতিমধ্যেই আধখানা ফুসফুস বাদ পড়েছে তার শরীর থেকে৷ কিন্তু তাতেও ভেঙে পড়েননি অভিনেত্রী৷ এখনও চলছে কেমো থেরাপি, পড়ে যাচ্ছে চুলও তবে সেই জন্য থেমে থাকতে নারাজ ঐন্দ্রিলা।
যেমনটা জানা যায় এর আগে ২০১৫ তেও আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্যান্সারে। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করে তবেই ভালো হয়েছিলেন অভিনেত্রী। কেমোথেরাপির সাহায্য নিয়ে জয় করেছিলেন ক্যান্সারকে। কিন্তু এবছর স্বরস্বতী পূজার সময় থেকেই হটাৎ শুরু হয় কাঁধে প্রচন্ড যন্ত্রণা। যন্ত্রণা নিয়েই দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। হাসপাতালে নানান পরীক্ষা করে জানা যায় অভিনেত্রীর ডান দিকের ফুসফুসে রয়েছে একটি টিউমার। যেটা বায়োপসি করলে অভিনেত্রী জানতে পারেন ফের ক্যান্সার আক্রান্ত তিনি।
একবার আগেই ইচ্ছাশক্তির জেরে জয় করেছেন ক্যান্সারকে। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৫টা বছর অভিনয়, পড়াশোনা নিয়ে দিব্যি কাটছিলো জীবন। কিন্তু সমস্ত কিছু যেন ফের বিচ্ছিন্ন করে দিল ফের ক্যান্সারের থাবা। তবে জীবনের এই কঠিন মুহূর্তে অভিনেত্রী কাছে পেয়েছেন প্রেমিককে।
ছোটবেলা থেকেই নাচ খুব প্রিয় ঐন্দ্রিলার। কিন্তু একের পর এক কেমো নেওয়ার পর ঐন্দ্রিলা ভেবেই নিয়েছিলেন তিনি আর কোনোদিন নাচতে পারবেন না। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পাঁচ মাস পর মায়ের আবদারে নাচলেন ঐন্দ্রিলা। নাচের ভিডিও পোস্ট করে ঐন্দ্রিলা লেখেন, “ছোটবেলা থেকে নাচ আমার খুব প্রিয়। দিনরাত নাচ – এর ক্লাস এ পরে থাকতাম। তার জন্য খুব বকাও খেতাম। তারপর ধীরে ধীরে নাচ করাটা কমে যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে। তারপর অভিনয় এ আসার পর serial এ কয়েকবার নাচ করতে হয়েছ আর করতে হতো মা এর আবদারে।অসুস্থ হওয়ার পর তো প্রশ্নই ওঠে না। operation এর পর যখন জ্ঞান ফিরলো ভেবেছিলাম আর হয়তো কোনোদিন নাচ করতে পারবোই না। কিন্তু আজ operation এর ৫ মাস পরে আবারও মা এর আবদারে প্রথমবার নাচ করলাম। যদিও পা এ গ্রিপ কম ,তাই ভালো খারাপ কি হয়েছে জানি না , তবে মনটা খুব ভালো লাগছে ।মনে হলো যেন আবার পুরোনো আমিকে খুঁজে পেলাম।”