‘মিশকা’ (Mishka) নামটা সকলের কাছেই বেশ পরিচিত। ষ্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকে এই খলচরিত্রে অভিনয় করছেন অহনা দত্ত (Ahona Dutta)। যে কোনো খলচরিত্রের সার্থকতা তখনই আসে যখন দর্শকেরা গালমন্দ করতে শুরু করে। আর মিশকাকে শুরু থেকে আজ অবধি কম গাল খেতে হয়নি। নিজের নিখুঁত অভিনয় দিয়ে অভিনয়ের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন অহনা।
পর্দায় ভিলেন হলেও বাস্তবে কিন্তু বেশ হাসিখুশি অহনা। কিন্তু প্রেম আর মায়ের মাঝে পরে রিয়েল লাইফেও ভিলেন হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। বর্তমানে অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালেরই মেকআপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey) এর সাথে প্রেম করেছেন অহনা। কিন্তু এই সম্পর্ক মোটেই মেনে নেননি অভিনেত্রীর মা চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায়। যে কারণে আলাদা হয়ে গিয়েছে মা ও মেয়ে।
একসময় নাচের রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমেই টেলিভিশনের পর্দায় পা রাখেন অহনা দত্ত। শিশুশিল্পী হিসাবে মায়ের সাথেই পারফর্ম করেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর সময়ের সাথে সাথে বড় হয় ও তারপর অনুরাগের ছোঁয়াতে অভিনয়ের সুযোগ আসে। কাজের সূত্রেই প্রেমে পড়েন অহনা। প্রেমিক দীপঙ্করের আগেও একটা বিয়ে ছিল, এই বিষয়টা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি অহনার মা। একসাথে থাকা তো দূর মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিনেমা বানাতে এসে আমায় বিয়ে করে নিল, এতদিনে বিয়ের মজার কাহিনী ভাগ করে নিলেন লিলি চক্রবর্তী
সম্প্রতি ছিল অহনা ও দীপঙ্করের প্রেমের বর্ষপূর্তি। লাভ অ্যানিভার্সারি উপলক্ষে প্রেমিকের বুকে মাথা রেখে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সাথে রয়েছে গোটা এক বছরের সুখময় সমস্ত স্মৃতি। যার শেষ লাইনগুলো কিছুটা এরকম, ‘তুমি আর তোমার এই পাগলামি ছাড়া যেন কোনোদিন বাঁচতে না হয়ে । তোমার পাগলামি তে যেন আমিও পাগল হয়ে যাই এই আশা করি’।
View this post on Instagram
এতকিছুর পরেও কোথাও যেন আনন্দটা ফিকে হয়ে গিয়েছে মা ও মেয়ের দ্বন্দ্বের মাঝে। অভিনেত্রীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার মনে হয় মা নিজের বন্ধুদের নিয়ে এভাবেই জীবনটা উপভোগ করতে চেয়েছিলেন। তাই আমি মাকে মুক্ত করে দিয়েছি’। কিন্তু একথা একেবারেই মেনে নেননি মা চাঁদনী গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ আর ফিরবো না কোনোদিন, শতদ্রুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল শিমুল! ফাঁস আজকের চোখে জল আনা পর্ব
সংবাদ মাধ্যমের তরফে চাঁদনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘মা-কে মুক্তি দিয়েছে না মেরে দিয়েছে। ২০১২ সালে ওর বাবার থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকে ওই আমার সব ছিল। আমার মা-বাবা নিজেদের ব্যবসা পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিল। আর এখন বলছে, বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে চাইতাম আমি? আগে তো এমন প্রয়োজন আমার ছিল না! মেয়েকে ঘিরেই ছিল আমার সমস্ত স্বপ্ন’। সব শেষে তিনি জানান, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আমি বিশ্বাস করি আমার কোনো মেয়েই ছিল না’।