ইদানিং বাংলার সিরিয়াল (Bengali Serial)-প্রেমী দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona)। লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর (Leena Ganguly) লেখা এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকমহলে আলোচনার শেষ নেই। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এই ধারাবাহিকের দর্শকদর জন্য নিত্যনতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলি।
এমনিতেই এখনকার দিনে যে কোনো সিরিয়ালের ক্ষেত্রেই বিয়ে মানেই অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এককথায় টিআরপি বাড়ানোর মোক্ষম সুযোগ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের নায়ক লালনকে তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়েছিলেন লেখিকা। কিন্তু বিয়ে তো সবাই করে আর বাঙালীদের বিয়েতে সিঁদুর দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ম।
আর সদ্য সেই নিয়মেই নতুন টুইস্ট এনেছিলেন লেখিকা। সিঁদুরের পরিবর্তে নায়ক লালন (Lalon) তিতিরের (Titir) সিঁথিতে পরিয়ে দিয়েছিল টকটকে লাল লিপস্টিক (Lipstick)। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে গিয়েছিল সমালোচনার ঝড়। বাংলা সিরিয়ালে প্রথমবার লিপস্টিকের বিয়ে দেখে বেশ মজাও পেয়েছিলেন নেটিজেনদের একাংশ। কিন্তু লালন তখন স্মৃতি হারিয়ে গোগল। এই নামেই তাকে ডাকে তিতিরের বাড়ির লোকজন।
আসলে কিছুদিন আগেই ধারাবাহকে দেখা গিয়েছিল সমুদ্রে ডুবে গিয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে লালন। তারপর থেকে এক চিকিৎসকের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সে। কিন্তু ফুলঝুরি এবং নিজের পরিবারকে সামনে দেখেও চিনতে পারেনি লালন। তারপর ধারাবাহিকে দেখা যায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ফুলঝুরির সামনে ওই চিকিৎসকের মেয়ে তিতিরের সাথে বিয়ে হয়ে গিয়েছে লালনের।
এরই মধ্যে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে সিরিয়ালের আসন্ন পর্বের একটি ভিডিও ক্লিপ। সেখানে দেখা যাচ্ছে কোন গানের মঞ্চে ফুলঝুরির (Fuljhuri) গান শুনে স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে লালনের। আর সেখানেই হলভর্তি লোকের সামনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদছে লালন ফুলঝুরি। কিন্তু বিয়ের পরেও গোগল অর্থাৎ লালন যে এইভাবে পাল্টে যাবে তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পড়েনি তিতির।
তাই চোখের সামনে এমনটা ঘটতে দেখে সে একেবারে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ভিডিও দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট সেকশনে উপচে পড়েছেন দর্শকদের নানা ধরনের মন্তব্য। কেউ বুঝতে পারছেন না এই তিতির চরিত্রটাকে নিয়ে লেখিকা কি করতে চাইছেন আবার অনেকেই ধুলোকণার এই পর্ব দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন লেখিকাকে। তাই একজন লিখেছেন ‘আগে যারা বিরক্ত হয়েছিল এখন তারাই প্রশংসা করছে’। আবার কেউ লিখেছেন ‘সবই পিসির লেখার জাদু,ম্যাজিক মোমেন্টস-এর ম্যাজিক’।