করোনা ভাইরাসের তান্ডবে গত দুবছরে ভেঙে গিয়েছিল বিনোদন জগতের মেরুদন্ড। বলিউড যাও বা ব্যবসা করছিল টুকটুক করে, টলিউড তো প্রথম দিকে প্রায় মুখ থুবড়েই পড়েছিল। যদিও দেবের ছবি ‘টনিক’ সেই শূন্যস্থান খানিক পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। টনিকের পর থেকেই যেন ধীরে ধীরে ভাগ্য ফিরছে বাংলা ছবির৷
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ (kakababur Pratyabartan) এবং শিবপ্রসাদ নন্দিতার বাবা বেবি ও (Baba Baby o) ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে বেশ সফল হয়েছিল। আমরা সকলেই জানি করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ দেশের বুকে আছড়ে পড়তেই দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সিনেমা হল গুলি। এই পরিস্থিতিতে প্রবলভাবে ধাক্কা খেয়েছিল টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।
এরপর দেবের ছবি ‘টনিক’ মুক্তি পেতেই খানিক হলমুখী হয় বাংলা ছবির দর্শক। ভরা ফেব্রুয়ারী মাসে সরস্বতী পুজো থেকে ভ্যালেন্টাইন উইকে রমরমিয়ে হলে চলেছে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির কাকাবাবু, এবং সোলাঙ্কি এবং যীশু অভিনীত ‘বাবা বেবি ও’।
নন্দন নবীনাতে উপচে পড়েছে দর্শক। শুধু তাই নয় তিন দিনেই ১ কোটি টাকা বক্স অফিস আয় ও করে ফেলেছে এই দুই বাংলা ছবি। দুটি ভিন্ন স্বাদের ছবি একই সাথে দাপিয়ে চলেছে হলে। ‘বাবা বেবি ও’ এর গল্প একজন সিঙ্গেল ফাদারকে নিয়ে। এই বিষয়টিও যে এত সহজে দর্শক বুঝে নেবে, মেনে নেবে তা প্রথমে ভাবাই যায়নি।
ছবির নির্মাতা তথা প্রযোজক শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতা সামাজিক মাধ্যমে দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই ছবির বুক মাই শো রেটিং ৮২ % এবং IMDB রেটিং ৮.২। অন্যদিকে ‘কাকাবাবুর প্রযোজক’ মহেন্দ্র সোনি জানান ‘১ কোটি ছাড়িয়ে গেল তিন দিনে’। তার উচ্ছ্বাস ও ফেটে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়।