বলিউড হোক বা টলিউড, দুই মহলেই বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা একটি অতি সাধারণ ঘটনা। সাধারণ মানুষের বিচ্ছেদ নিয়ে জনগণের সেরকম আগ্রহ না থাকলেও বলিউড তারকাদের বিয়ের পাশাপাশি বিচ্ছেদ নিয়েও চলে তুমুল জল্পনা। বি-টাউনে খবর নিলেই জানা যাবে এমন বহু তারকা আছেন যাঁরা বিচ্ছেদের পর হয়তো এখনও বিপুল অঙ্কের খোরপোশ পান।
সইফ আলি খান
করিনার বর্তমান স্বামী সইফের বিয়ে হয় তাঁর থেকে ১৩ বছরের বড় অমৃতা রাওয়ের সঙ্গে। যদিও সে বিয়ে টেকেনি। এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছিলেন, অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় খোরপোশের পরিমাণ ঠিক হয় প্রায় আড়াই কোটি টাকা। তাছাড়াও প্রতি মাসে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা তিনি অমৃতাকে তাঁর দুই সন্তানের খরচ বাবদ দেন।
সঞ্জয় দত্ত
২০১৬ সালে ডিভোর্সের সময় করিশ্মা এবং তাঁর স্বামী সঞ্জয়ের মধ্যে ১৪ কোটি টাকার খোরপোশের রফা হয়। তাছাড়াও প্রাক্তন স্ত্রীকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা করে খোরপোশ দেন সঞ্জয়। স্বাভাবিকভাবেই অঙ্কের পরিমাণ শুনে চোখ কপালে উঠবেই সাধারণ মানুষের!বলিবাবা সঞ্জয় দত্ত তার দ্বিতীয় স্ত্রী রিয়া পিল্লাইয়ের বিচ্ছেদের পরেও রিয়ার খরচ বহন করতে বাধ্য হন সঞ্জু। সূত্রের খবর, সঞ্জয় প্রায় ৪ কোটি টাকা খোরপোশ দিয়েছিলেন।
হৃতিক রোশন
হৃতিকের সঙ্গে সুজানের বিয়ে হয় ২০০০ সালে। বলিসূত্রের খবর, বিচ্ছেদের পর সুজান প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খোরপোশ চাইলেও, শেষমেষ ৩৮০ কোটি টাকায় রফা হয়।
আদিত্য চোপড়া
বলিউডে বিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোষের অঙ্কও খবরের বিষয় হয়ে ওঠে। আর এর কারণ খোরপোশের পরিমাণ। বলিপাড়ায় ডিভোর্সের তালিকা খুললে প্রথমেই আসেন রানি মুখোপাধ্যায়ের স্বামী আদিত্য চোপড়ার নাম। সূত্রের খবর, প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ডিভোর্সের সময় ৫০ কোটি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন আদিত্য!
প্রভু দেবা
২০১১ সালে রামলতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর স্ত্রীকে প্রভুদেবা খোরপোশ বাবদ ১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বলিপাড়ার গসিপমহল বলে, সঙ্গে ২০-২৫ কোটি টাকার সম্পত্তিও তিনি প্রাক্তন স্ত্রীকে দিয়ে দেন।
আমির খান
বলিসূত্রের বক্তব্য, ২০০২ সালে ডিভোর্স-র পর প্রাক্তন স্ত্রী রীনাকে ৫০ কোটি টাকা দিতে বাধ্য হন আমির।