• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

টেস্টি খাবারের সাথে গালাগাল ফ্রি! ‘স্মার্ট দিদি’ অতীত, নেটপাড়ায় সুপার ভাইরাল ‘রাগী মাসির হোটেল’, রইল ভিডিও

Published on:

after Smart Nandini Didi Ragi Masir Hotel gone viral on social media

‘স্মার্ট দিদি’র (Smart Didi) পর এবার ভাইরাল হল ‘রাগী মাসির হোটেল’ (Ragi Masir Hotel)। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। শুনতে একটু অবাক লাগলেও এই নামেই পরিচিত তিনি। দুপুর বেলায় সুস্বাদু ঘরোয়া খাবার খেতে ‘রাগী মাসির হোটেল’এই ভিড় করেন গ্রাহকরা। তবে এখানে গেলে কিন্তু শুধু জিভে জল আনা ঘরোয়া খাবার নয়, সেই সঙ্গেই পাওয়া যায় মাসির গালাগালও। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রত্যেকদিন তাঁর হোটেলে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। কিন্তু রাঁধতে রাঁধতে এত রেগে যান কেন মাসি?

‘রাগী মাসির হোটেল’এ নানান ধরণের সুস্বাদু পদ পাওয়া যায়। পাঁচফোড়ন, কালো জিরে দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল থেকে শুরু করে আলু বেগুনের চচ্চড়ি- সকাল থেকে নানান ধরণের রান্না করে গ্রাহদের যত্ন করে খাওয়ান তিনি। তবে পান থেকে চুল খসলেই রেগে আগুন হয়ে যান ‘রাগী মাসি’। ৪০ টাকার মাছের ঝোল যদি কেউ ৩৫ টাকায় নিতে চান, তাহলে জুটবে মাসির ‘বকুনি’। নিশ্চয়ই এখন ভাবছেন ‘রাগী মাসির হোটেল’ কোথায়?

Ragi Masir Hotel, রাগী মাসির হোটেল

জানিয়ে রাখি, আপনিও যদি ‘রাগী মাসি’র হাতে সুস্বাদু রান্না খেতে চান তাহলে আপনাকে চলে যেতে হবে রাসবিহারী মোড়ে। সেখানেই মাসির হাতের জিভে জল আনা খাবার খেতে রোজ ভিড় করেন গ্রাহরা। তবে মাসি কেন এত রেগে যান? এই সময় ডিজিটালের কাছে তিনি বলেন, ‘রাগব না? কেউ রাগালে তো রাগবই। কতক্ষণ ধৈর্য ধরে রাখা যায়? একটা সীমা আছে তো। আমায় রাগানোর জন্যই সবাই পিছনে লাগে’।

‘রাগী মাসি’র সংযোজন, ‘গ্রাহকরা বলে, আমার গালাগাল না শুনলে নাকি ওঁদের ভাত হজম হয় না। আর রাগ হলে আমি কাউকে ছাড়ি না। আমার বাবাকেও ছাড়ি না’। তবে বাইরে থেকে যতই রাগী লাগুক না কেন, ভেতরে ভেতরে খুব নরম মনের মানুষ তিনি।

Ragi Masir Hotel, রাগী মাসির হোটেল

প্রায় ৫০ বছর ধরে রাসবিহারীতে এই পাইস হোটেল চালাচ্ছেন তিনি। আগে সোনারপুর থেকে ভোরের ট্রেন ধরে বালিগঞ্জে আসতেন ‘রাগী মাসি’। কিন্তু এখন বয়স হয়েছে। তাই পারেন না। এখন তাই দোকান আগলে ফুটপাথেই থাকেন তিনি।

নিজের লড়াইয়ের কাহিনী বলতে গিয়ে ‘রাগী মাসি’ বলেন, ’৫০ বছর হয়ে গিয়েছে এই দোকান চালাছি। আগে শরীর ছিল, পয়সা ছিল না। এখন শরীরে যুত নেই। কিন্তু প্রচুর গ্রাহক আসেন। অনেক সময় একা হাতে সামলাতে পারি না। কাজ করার লোকও তেমন পাই না। যদিও এখন দোকান চালিয়ে অনেক শান্তি পাই। সবাই চেনে, ভালোবাসে। আগে কেউ সহ্য করতে পারতো না। আসলে আমি মূর্খ মানুষ। দোতলা বাড়ি চাই না। এখানে মরে গেলেও আনন্দে মরব’।

design-and-ux/mobile-first Created with Sketch. Join Us ➥