সিরিয়াল মানেই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়। আর সিরিয়ালের সাথে দর্শকদের সম্পর্ক আজকের নয়। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সিরিয়ালের বিষয়বস্তুতেও আনা হয়েছে নিত্যনতুন পরিবর্তন। তবে একথা মানতেই হবে আজকাল সিরিয়াল মানেই সাংসারিক কূটকচালি, প্রকিয়া কিংবা একাধিক বিয়ে এগুলো অত্যন্ত কমন বিষয়। তাই একঘেয়ে সিরিয়াল দেখে দর্শকরাও দিনে দিনে হাঁপিয়ে উঠেছেন।
তাছাড়া সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে টিভির সামনে বসেও ঝগড়াঝাঁটি, ষড়যন্ত্র কিংবা কূটকচালি দেখতে কারই বা ভালো লাগে! তাই বহুদিন ধরেই দর্শকরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল গোয়েন্দা গিন্নির সিজন ২ (Goyenda Ginni Season 2) নিয়ে আসা হোক। কথায় আছে ‘জনতা জনার্দন’ তাই দর্শকদের ইচ্ছাকে শিরোধার্য করেই এবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে আমাদের সকলের প্রিয় গোয়েন্দা গিন্নি অর্থাৎ ডিটেকটিভ পরমা মিত্রকে।
এই সিরিয়ালে গোয়েন্দা গিন্নির চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার (Indrani Halder)। বাড়ির বউ হিসাবে সংসারের সমস্ত দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি রহস্যের গন্ধ পেলেই ছুটে গিয়ে তার সমাধান করতেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত একবছর চললেও,এই সিরিয়ালে সকলের দুর্দান্ত অভিনয় আর মজাদার কাহিনী দর্শকদের মন তো জয় করে ছিলই, সেইসাথে টিআরপি লিস্টেও বেশ ভালো ফলাফল ছিল সিরিয়ালের।
তবে গোয়েন্দা গিন্নি শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন স্টার জলসার শ্রীময়ী সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে ইন্দ্রাণী হালদারের। এই শ্রীময়ী চরিত্রের হাত ধরে বিপুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন অভিনেত্রী। আর এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর থেকে ভক্তরা ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ দ্বিতীয় সিজন নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছিলেন।সম্প্রতি জি বাংলার সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড শোতে এসে সেই সুখবরই দিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। পাশেই ছিলেন তার ডাক্তার বাবু ।
এদিন সংসার অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইন্দ্রাণী হালদার বলেন জি বাংলার সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডে এসে তার মনে হচ্ছে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে এসেছেন। তার এই মন্তব্য ঘিরে জি বাংলা ভার্সেস স্টার জলসার সিরিয়াল প্রেমীদের মধ্যে বেঁধে গিয়েছে তুমুল তর্কাতর্কি। জি বাংলার দর্শক বলতে শুরু করেন ইন্দ্রাণী হালদারের কাছে জি বাংলাই বেশি আপন, আর প্রতিবাদ জানিয়ে স্টার জলসার দর্শকরা বলতে শুরু করেন শ্রীময়ী হিসেবে চূড়ান্ত খ্যাতি পেয়েছেন ইন্দ্রানী হালদার। তাই জি বাংলাকেই আপন মনে করার কোন কারণ নেই।