সপ্তাহেই শনিবার মাঝ রাতে আরব সাগরের তীরে বিলাসতরণী কর্ডেলিয়া এমপ্রেস শিপে (Cordelia Empress Ship) চলছিল ‘রেভ পার্টি’। সেই পার্টি থেকেই মাদককাণ্ডে এনসিবির তদন্তকারী অফিসারদের হাতে ধরা পড়েছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) বড়ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan)। উল্লেখ্য মাদক কান্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বিগত কয়েকদিন ধরে বি টাউনে কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছেন আরিয়ান।
যার খেলার দিতে হচ্ছে কিং খানকে। উল্লেখ্য বলিউডের প্রথম সারির এই অভিনেতা অভিনয়ের পাশাপাশিই এখন অনেক বিজ্ঞাপনী সংস্থার ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর। কিন্তু মাদককান্ডে শাহরুখপুত্র গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ইতিমধ্যেই শাহরুখের হাতছাড়া হয়েছে একটি নামী ব্রান্ডের বড় প্রজেক্ট। জানা গেছে ইতিমধ্যেই ওই নামী ব্র্যান্ডটি ইতিমধ্যেই কিং খানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
জানি গেছে কাজ শুরু হওয়ার আগেই ওই ব্রান্ডটি শাহরুখ খানকে অ্যাডভান্স পেমেন্টও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাডভান্স পেমেন্ট করার পরেও শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে এটি শাহরুখের সাইন করা বড় প্রোজেক্ট গুলির মধ্যে অন্যতম একটি ছিল। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বিগত কয়েকদিন ধরে ওই সংস্থাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত নানা ধরনের ব্যঙ্গ বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন।
আর তাই অ্যাডভান্স বুকিং থাকা সত্বেও নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষা করার কথা বিচার করে তাঁরা শাহরুখের সাথে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এপ্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত লার্নিং অ্যাপ সংস্থা বাইজু’র (BYJU’S) মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করেননি বলে জানা গিয়েছে।জানা গেছে শাহরুখের সঙ্গে বাইজু-র তিন থেকে চার কোটি টাকার বার্ষিক চুক্তি ছিল। বিগত ৪ বছর অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকেই এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার শাহরুখ।
উল্লেখ্য একথা ভুলে গেলে চলবে না যে বিজ্ঞাপনে তাঁর উপস্থিতির কারণেই কোম্পানি অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে শাহরুখের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে বাইজু। আর তার অন্যতম কারণ এই সংস্থার পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি তাঁরা তাঁদের সন্তানদের এমন সংস্থা থেকে শিক্ষা দিতে চাইছেন না, যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডারের ছেলে ড্রাগস মামলায় অভিযুক্ত। তবে এখনও পর্যন্ত এটা স্পষ্ট নয় যে, বাইজু’র সঙ্গে শাহরুখের সমস্ত চুক্তি সত্যিই তুলে নেওয়া হয়েছে কিনা।