এখন রাজ্যে একমাস ধরে চলে দুর্গাপুজো। এমনকি বিজয়া দশমীর পরেও থেকে যায় তার রেশ। প্রত্যেক বছর পুজোর রেশটাকে আরও একটু বেশি করে ধরে রাখতে কলকাতার রেড রোডে ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল। প্রত্যেক বছরই বাংলার সেলিব্রিটি তারকাদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য সন্ধ্যার আয়োজন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ইউনেসকোর থেকে স্বীকৃতি মেলার পর এবছর যা বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। গত সপ্তাহে শনিবার মহা ধুমধাম করে বেরিয়েছিল সেই কার্নিভাল। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা এবং সল্টলেক সহ মোট ৯৫ টি দুর্গাপুজা কমিটি শামিল হয়েছিল এই দুর্গাপুজোর কার্নিভালে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দুর্গাপুজোর এই কার্নিভালে (Durgapuja Carnival) হাজির হয়েছিলেন বাংলার বিনোদন জগতের একঝাঁক তারকা।
তবে এদিনের কার্নিভালে এক ঝাঁক তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যিনি নজর কেড়েছিলেন তিনি হলেন টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। এবছর তিনি প্রথমবারের জন্য যোগ দিয়েছিলেন এই কার্নিভালে। সেই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে নিয়েছিলেন স্বস্তিকা। এমনিতে স্বস্তিকা বরাবরই বর্তমান শাসক দলের সঙ্গে ‘সেফ দূরত্ব’ বজায় রেখেই চলেন। প্রয়োজনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি।
সেই স্বস্তিকাকেই এদিন দুর্গাপুজোর কার্নিভালে গিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পা ছুতে দেখে অবাক হয়ে যান সকলেই। যার ফলে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে অভিনেত্রীর উদ্যেশ্যে ধেয়ে আসে নানান কটাক্ষ। কেউ তাকে বললেন ‘মেরুদণ্ডহীন’ তো কেউ কটাক্ষ করলেন ‘চটিচাটা’ বলে। এমনকি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও স্বস্তিকাকে আখ্যা দিলেন ‘খামতি দিদিমণি’।
তবে প্রথমদিকে চুপ থাকলেও এতো কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিন্দুকদের একহাত নিয়ে কড়া ভাষায় অভিনেত্রী লিখেছেন ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাঁকে নমস্কার করে বিজয়া জানানোটা ভদ্রতা, সৌজন্য। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার’।
এখানেই শেষ নয় এরপরেই আরও কড়া ভাষায় অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়। আমরা একটা সভ্য দেশে বাস করি, বর্বর নই। কাল দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেও একই ভাবে নমস্কার করব কারণ সেটাই ঠিক’। সেইসাথে অভিনেত্রীর সংযোজন পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে আমায় জিহাদ ঘোষনা করতেই হবে নাহলেই আমার মেরুদন্ড ধ্বসে পরবে এমন কোনো দাসখত আমি লিখিনি। আর আমার ধ্যান ধারণা বিবেক বিচার আপনাদের কথায় ওঠা নামা করে না।’ সবশেষে তিনি লিখেছেন ‘অসভ্য হওয়ার জন্য যে শিরদাঁড়াহীনতা লাগে সেটাও আমার নেই। তাই বেশ করেছি’।