বলিউডে মাদক চক্র (Bollywood Drugcase) নতুন কিছুই নয়! সময়ে সময়ে একাধিকবার বি টাউনে মাদককান্ড নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলেছে। বিশেষত গতবছর অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাবার পর থেকে একেরপর এক মাদককাণ্ডের খোঁজ মিলেছে। নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) রীতিমত সুপার অ্যাক্টিভ হয়ে গিয়েছে। বিগত অক্টবর মাসে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে পর্যন্ত গ্রেফতার করে জেলের খাওয়া খাইয়েছে এনসিবি।
যদিও আরিয়ান খান শেষমেশ জামিন পেয়েছে, তবে বলিউডের বাদশার এক মাসের জন্য কাল ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল NCB। এমনই একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রকে মাদক মামলায় জেরা করা হয়েছে ২০২০ সাল থেকে। একপ্রকার বলি তারকাদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।
এবার সেই সুযোগ নিয়েই এক বলি অভিনেত্রীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে দুই ঠকবাজ। নিজেদের এনসিবি আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়েই অভিনেত্রীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল তাঁরা। যার ফলাফল হল মারাত্মক, আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ওই অভিনেত্রী।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, গত ২০ ডিসেম্বর এক হুক্কা পার্লারে বন্ধুদের সাথে মজা করছিলেন ওই অভিনেত্রী। সেই সময়েই নিজেদের NCB আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। অভিনেত্রীকে ওই ভুয়ো এনসিবি আধিকারিকেরা জানান, মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে তাকে। যদি সেটা না চান তাহলে ৪০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
মাদক মামলায় নাম জড়ানোর কথাই স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়ে যান অভিনেত্রী। তবে এতটাকা দেওয়া সম্ভব নয় তাই দর কষাকষি চলতে থাকে, শেষে ২০ লক্ষ টাকা দেবার কথা হয়। আর শেষমেশ এই হুমকির জেরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন অভিনেত্রী। নিজের জীবনটাই শেষ করে দেন আত্মহত্যা করে। এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে।
ইতিমধ্যেই ঘটনায় পুলিশ দুই ভুয়ো এনসিবি অফিসার সুরজ পরদেশাই ও প্রবীণ ভালিম্বেকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই চক্রের সাথে আরও অনেকে যুক্ত আছে বলে ধারণা পুলিশের তাই সংখ্যাটা দুই থেকে আরও বাড়তে পারে ভবিষ্যতে। যেমনটা জানা যাচ্ছে ধৃত দুজনের নামে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর মতে, NCB নিজেই নিরপরাধ মানুষদের এভাবে হেনস্থা করছে।