স্পষ্টবাদী হিসাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট নাম রয়েছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)-এর। বরাবরই অকপটে নিজের মনের কথা মুখে বলতেই ভালোবাসেন অভিনেত্রী। যার জেরে মাঝে মধ্যেই ধেয়ে আসে নানান কুমন্তব্য। কিন্তু সেসব নিয়ে কখনই মাথা ঘামান না অভিনেত্রী। বরং জীবনের প্রতিটা মুহুর্তই নিজের শর্তে বাঁচেন অভিনেত্রী। তাই নিজের জীবনটাকে চুটিয়ে উপভোগ করতে যখন যেটা করতে মন চায় সেটাই করেন শ্রীলেখা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিয়মিত অ্যাক্টিভ থাকেন অভিনেত্রী।
আজ নারীদিবস। আর আজকের এই বিশেষ দিনটাকে উপলক্ষ করে আমাদের সমাজের সমগ্র নারি জাতির উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে এক বিশেষ আর্জি জানিয়ে শ্রীলেখা বলেছেন, ‘‘এক জন পুরুষের মতো এক জন নারীরও নিজস্ব কিছু সম্পত্তি থাকা দরকার। যা তাকে নিরাপত্তা দেবে। নিজের বাড়ি দিয়েই না হয় শুরু হোক সেই পদক্ষেপ!’’
প্রসঙ্গত আজ ২০২২ সালে দাঁড়িয়েও শুনতে হয় ‘মেয়েদের নিজের বাড়ি বলে কিছু হয় না।’ তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মেয়েরা এখন সর্বদিক দিয়ে পারদর্শী। তাই এই প্রচলিত ধ্যান ধারণার মধ্যে আর আটকে নেই আজকের একুশ শতকের নারী জাতি। এই একই সুর শোনা গেল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের গলাতেও।
তাই এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী জানিয়েছেন , ‘শহর কলকাতায় এমন বহু নারী আছেন, যাঁরা নিজেদের উপার্জনে নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় করেছেন।’ আর তার জলজ্যান্ত উদাহরণ শ্রীলেখা নিজেই। নিজের উপার্জনেই তিনি বানিয়েছেন ‘আমার বাসা’। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘তখনও আমি বিচ্ছিন্ন নই। তখনই নিজের উপার্জন জমিয়ে দক্ষিণ কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। যেটি সম্পূর্ণ আমার।’
সেইসাথে অভিনেত্রীর আরও সংযোজন ‘যখন মেয়েকে নিয়ে আমি একা, তখন মা-বাবা-ভাইয়ের আশ্রয়ের উপরে নির্ভরশীল হতে হয়নি।’’ এছাড়া সেসময় শ্রীলেখার এও মনে হয়েছিল ‘‘মায়ের কাছে গিয়ে ওঠা মানে তাঁর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ওঠা! ওটা তো মায়েরও নিজের বাড়ি নয়। ফলে, ওই বাড়িকে কী করে ‘আমার বাড়ি’ বলতে পারি?’’ এখন অবশ্য থাকেন নিজের উপার্জনেই কেন অন্য একটি ফ্লাটে। তবে এবার তার নতুন স্বপ্ন তাই ‘আমাদের বাসা’ বানানোর। তাই জমি, বাংলো বা স্টুডিয়ো বাড়ি করার ইচ্ছা তার। সেখানেই নিজের সাথেই প্রিয় চার পেয়ে সন্তানদের নিয়ে থাকবেন অভিনেত্রী।