অভিনয়ই ধ্যান জ্ঞান তার। স্বপ্ন ছিল তার পরিচয় হবে অভিনেতাই। একটু একটু করে কাজ করতেও শুরু করেছিলেন। মঙ্গল চণ্ডী এবং মনসা-র মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছএন শুভ। কিন্তু লকডাউনের জেরে একেবারে বেকার হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা শুভ চক্রবর্তী। মায়ের থেকে দুবেলা শুনতে হত কুকথা। উঠতে বসতে মা বলে উঠতেন,‘‘৩১ বছর বয়সেও আমার ছেলে বেকার।’’ মানসিক অবসাদ, আর্থিক অনটন ধীরে ধীরে শেষ করে দিচ্ছিল অভিনেতাকে।
আর তখনই এর থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আত্মহত্যার কথাই ভেবে বসলেন শুভ চক্রবর্তী। আর সেই ভেবেই ক্যাপশনে ‘I Quit’ লিখে বুধবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। আর সকলের সামনেই খেতে থাকেন একের পর এক ঘুমের ওষুধ।
অভিনেতা জানান, ‘‘মানসিক অবসাদ গ্রাস করলে মানুষ বাঁচতে চায় না। আমি কাউকে দেখানোর জন্য করছি না। আমি সত্যিই আর বাঁচতে চাই না। সমস্ত ওষুধ আমি চিবিয়ে খাচ্ছি। গত বছর বাবাকে হারিয়েছি”। সাথে গীটার বাজিয়ে নিজের পছন্দের গান গুলিও গাইতে থাকেন অভিনেতা। ধরা ধরা কন্ঠে জানান, “গত একবছরে কেউই আমায় ডাকেনি, হয়ত খুব বাজে অভিনয় করি”।
নিজের মনের কথা বলতে বলতে একটা স্ট্রিপের প্রায় সমস্ত ঘুমের ওষুধ শেষ করে ফেলেন অভিনেতা। অতগুলো ওষুধ খাওয়ার পর লাইভের শেষে শুভ বলেন, যদি বেঁচে থাকি তবে আবার একটা লাইভ করব।’ এই লাইভ দেখা মাত্রই লোকাল থানায় খবর দেন অভিনেতার এক অনুরাগী। খবর পেয়ে শীঘ্রই তার বাড়ি পৌঁছায় পুলিশ। দরজা বন্ধ করে ছেলে কী করছে সেকথা টের পায়নি অভিনেতার মা- বোনও। যদিও আপাতত অভিনেতা বিপদ মুক্ত হয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে।