সময় বড় অদ্ভুত জিনিস। কখনও ভালো তো কখনও মন্দ। সুসময় কাটানোর মুহূর্তে মানুষ বুঝতেই পারেন না কখন অজান্তেই তার দোরগোড়ায় এসে দাঁড়াবে দুর্দিন। আজ ঠিক এমনই এক পরিস্থিতির সম্মুখীন টলিউডের দীর্ঘ ৫০ বছরের প্রবীণ অভিনেতা শঙ্কর ঘোষালের (Shankar Ghoshal)। ‘প্রতিশোধ’ ছবিতে তিনি মহানায়ক উত্তমকুমারের সহ অভিনেতা ছিলেন। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নহবত’ নাটকে তিনি সুপারহিট ‘বরের পুরুত’! তবুও কাজের অভাবে সংসারে চলছে অনটন, আর তাইই রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাত পাততে হচ্ছে অভিনেতাকে।
কিছু সিরিয়ালে টুকটাক অভিনয় করে খুবই টেনেটুনে সংসার চলে প্রবীণ অভিনেতার৷ এবার তারই দুর্দিনে পাশে দাঁড়ালেন মহাপীঠ তারাপীঠ’ খ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (sabyasachi chowdhury)। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করে শঙ্কর বাবুর দুরাবস্থার কথা জানান তিনি। ৭০ বছরের শঙ্কর ঘোষাল, একসময় যিনি উত্তম কুমার, সলিল চৌধুরীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু এখন একমুঠো ভাত জোগাড় করার জন্যও হিমশিম খাচ্ছেন সত্তর বছরের মানুষটা। ‘সৌদামিনীর সংসার’এ শেষ দেখা মিলেছে অভিনেতার, তারপর বন্ধ কাজ।
View this post on Instagram
তিনি লিখছেন, একসময় তিনি কাজ না পেলে পথে পথে হকারি করতেন, কিন্তু ৭০ বছরে সেটা আর সম্ভব নয়। তাই উপায় না পেয়ে হাতিবাগানের মতো জনবহুল রাস্তাতে হাত পাততে বাধ্য হয়েছেন অভিনেতা৷ স্ত্রী ছোট নাতিকে নিয়ে তিনজনের পেট চালানোর মতো ক্ষমতাও আর অভিনেতার নেই। তাই সব্যসাচী ঐন্দ্রিলা সাধ্য মতো চেষ্টা করেছেন শঙ্কর বাবুর পাশে থাকতে।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ অভিনেতার নিজের বোন রত্না ঘোষাল। তিনি এখনও দাপিয়ে অভিনয় করছেন ছোট-বড় পর্দায়। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের ‘বড়মা’ হিসেবে জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। তাঁর দাদা কাজের অভাবে রাস্তায়? অভিনেতার দাবি, বোন তাঁর হয়ে অনেক জায়গায় বলেছেন। তার পরেও ডাক পাচ্ছেন না তিনি।