হিন্দি ধারাবাহিক এবং বলিউডের (bollywood) একাধিক ছবিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় একাধিকবার দেখা গিয়েছে অভিনেতা রনিত রায়কে (Ronit roy)। ‘আদালত’ (Adalat) ধারাবাহিকের কেডি পাঠক হয়ে ওঠার লড়াইটা এত সহজ ছিল না। অনেক ঘাম ঝড়িয়ে তবে আজ তিনি এই জায়গায়। রনিত জানান একসময় মিঃ পারফেকশানিস্ট আমির খানের দেহরক্ষী হিসেবেও কাজ করতে হয়েছে তাকে। তবে তার সেই জীবনটাকে অস্বীকার করতে রাজি নন অভিনেতা, বরং সেখান থেকেই তার শেখার শুরু।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রনিত তার পূর্ব স্মৃতিচারণা করে বলেন, ” একসময় আমির খানের বডিগার্ড ছিলাম। তবে আমার সৌভাগ্য যে,আমি আমির খানের সঙ্গে দুই বছর থাকার সুযোগ পেয়েছি। ওনার থেকেই আমার কাজের প্রতি অধ্যাবসায় ও আগ্রহের বিষয়টি শেখা। আমির খান আমার অনুপ্রেরণা “। রনিতের ইচ্ছে ছিল তিনি তারকা হবেন। আর তাইই মুম্বাইয়ে পারি দেন তিনি। তিনি বলেন, “শখ ছিল আমার বড় গাড়ি থাকবে, মেয়েরা আমার নাম ধরে চিৎকার করবে। এরপর বুঝলাম সবটা এত সহজ নয়। দীর্ঘ ৫-৬ বছর আমার কোনো কাজ ছিল না। পরবর্তী সময়ে বুঝতে পারলাম, অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে খ্যাতির কোনো সম্পর্ক নেই।”
এরপর আদালতে অসম্ভব জনপ্রিয়তা পান অভিনেতা রনিত রায়। তিনি জানান, “প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর, আমির আমায় বাস্তবটা দেখান। গাড়ি বাড়ির চিন্তা বাদ দিয়ে অভিনয়ে মন দিই। আরোও শিখতে চেষ্টা করি।” ইন্ডাস্ট্রিতে কম অবজ্ঞাও সইতে হয়নি তাকে। তিনি জানান, “আমার ম্যানেজার একবার বলেছিলেন, আমরা কেন রনিত রায়কে কাস্টিং করব? জুনিয়র আর্টিস্টরাও তার চেয়ে ভালো।” কিন্তু দুই বছর আগে সেই রনিতকে সিনেমার অফার দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম কারণ সিনেমাটি ভালো ছিল না।”
প্রসঙ্গত, তারকাদের রক্ষাকবজ হয়ে তার নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায় সামলান তাদের বডিগার্ডরাই। আমির খানের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী যুবরাজ ঘোরপাদে অভিনেতার পাশে ছায়ার মতো থাকেন। পাবলিক ইভেন্ট থেকে শুরু করে ফিল্ম সেট পর্যন্ত, যুবরাজকে আমিরের সর্বক্ষণের সঙ্গী। এতবড় একজন সেলিব্রেটির জন্য ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হওয়া সহজ বিষয় নয়। বিপুল পরিমাণ ধৈর্য্য এবং নিষ্ঠা থাকলেই এই দায়িত্ব পালন করা সম্ভব। সম্প্রতি জানা গিয়েছে তার বার্ষিক আয় প্রায় ২ কোটি টাকা।