টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে আবির চট্টোপাধ্যায়ের (Abir Chatterjee) মানেই বাংলার অসংখ্য তরুণীর কাছে বং ক্রাশ। বিবাহিত হলেও সুদর্শন এই অভিনেতার মহিলা অনুরাগীদের সংখ্যা রয়েছে চোখে পড়ার মতো। তবে পর্দার এই ব্যোমকেশ বক্সীও কিন্তু সত্যবতীর মতোই আসক্ত এক নারীতে। তিনি অভিনেতার স্ত্রী তথা বেস্ট ফ্রেন্ড নন্দিনী চ্যাটার্জী (Nandini Chatterjee)।
সদ্য অভিনেতা কাজ করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তীর সাথে ‘ফাটাফাটি’ সিনেমায়। একজন প্লাস সাইজ মেয়ের মডেল হওয়ার গল্প নিয়ে তৈরি এই সিনেমায় মধ্য দিয়ে বেশ জোরালো একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে সমাজের প্রতি। এমনিতে সিনেমা মানেই বাস্তবের আয়না আর সেই কথাই প্রমাণিত হতে চলেছে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির উইন্ডোজ প্রোডাকশনের এই নতুন সিনেমায়।
আগামী ১২ ই মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ফাটাফাটি’। তার আগে আগে সম্প্রতি প্রতিদিনের ডিজিটাল মাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে বসেছিলেন অভিনেতা। সিনেমায় আবিরের চরিত্রটির নাম হয়েছে বাচস্পতি ভাদুড়ি। ডাকনাম বেচুদা, পর্দায় তিনি যত্নবান স্বামী। সে তার বউ ফুল্লরাকে মন থেকে ভালোবাসে। তার স্ত্রী যেমন সেভাবেই তাকে ভালোবাসে।
তবে বাচস্পতি নিজেকে মহামানব মনে করে না। কারণ সে মনে করে বউয়ের পাশে দাঁড়ানোটা তার কর্তব্য। কোন অস্বাভাবিক কিছু নেই এর মধ্যে। পর্দায় এই চরিত্রটা করতে গিয়ে আবির নিজের সাথে কতটা কানেক্ট করতে পেরেছেন? জানতে চাওয়া হলে এদিন অভিনেতা বলেন ‘ফাটাফাটি ছবিটা আমি ছাড়া কে করবে? আমি তো প্রতিদিন বেচুদার মতই প্রতিক্রিয়া পেয়ে এসেছি। ওবেসিটি, সৌন্দর্যের প্যারামিটার এসব নিয়ে কটুক্তি রোজই শুনেছি স্বামী হিসেবে’।
এরপর অভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী চ্যাটার্জি কথা উঠতেই আবির জানান তাঁর স্ত্রী নিজেও স্ত্রীরটা পড়েছেন এবং আবির জানিয়েছেন তিনি মনে করেন এই ছবি নিয়ে তার থেকে বেশি অনেক কিছু বলার আছে তার স্ত্রী নন্দিনীর। কারণ প্লাস সাইজ হওয়ার পাশাপাশি তথাকথিত সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে না পড়ায় আবির এবং তার বউকেও কম কথা শুনতে হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আজ পর্যন্ত কোনো কথা না বললেও নিজের স্ত্রীর সাথে বডি শেমিং এর মতো বিষয় লাগাতার ঘটে চলার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন অভিনেতা বলেছেন ‘হ্যাঁ এটা বলতে আমার কোন লজ্জা নেই যারা অকথা-কুকথা বলছেন লজ্জা তাদের পাওয়ার কথা। যারা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের চেনেনা বা যারা চেনেন না, একটু দুরের আত্মীয়কেও কুকথায় অংশ নিতে দেখেছি। একটা সময় আমরা আন্ডার কনফিডেন্ট ছিলাম কিন্তু সময় এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমরা এটা পেরিয়ে যেতে শিখেছি’।
সেইসাথে অভিনেতা জানিয়েছেন ‘ সবার পক্ষে সম্ভব নয়, আমরা জানি। অপমানের স্তর পেরিয়ে যেতে হয় যা সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। আমাকে ডিরেক্টলি কেউ বলেনি। কিন্তু কানাঘুষো শুনেছি। নন্দিনীকে একটু বেশি শুনতে হয়েছে। যে ‘এমন ছিপচিপে ছেলে এমন মোটা বিয়ে করল! তবে এখন আর এসবে রাগ করেন না অভিনেতা কোন প্রতিক্রিয়া দেন না তিনি কারণ তিনি মনে করেন এগুলো প্রতিক্রিয়া পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। সেইসাথে নিন্দুকদের উদেশ্যে অভিনেতা বলেছেন ‘আমি তাদের সুস্থতা কামনা করি’।