শাহরুখ খান (Shahrukh Khan), নামটাই যথেষ্ট সিনেমাপ্রেমীদের কাছে। দেশে তো বটেই বিদেশেও তাঁর ভক্তের সংখ্যা অগণিত। প্রায় তিন বছরের দীর্ঘ বিশ্রামে ছিলেন বলিউডের ‘কিং খান’। তিনি বলিউডের বাদশা, তিনি ইন্ডাস্ট্রির রাজা। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি ফিরছেন বলিউডে। তার ছবির জন্য ট্রেলারও লাগেনা, কেবল শাহরুখের কামব্যাকের খবর পেয়েই দেশবাসীর উচ্ছ্বাস আর ধরছেনা। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে শাহরুখের পাঠান লুক। এই বয়সেও তার জেল্লায় হাত পুড়ছে ৮ থেকে আশির।
প্রতিবছর ঈদ এবং তার জন্মদিনের দিন তাকে এক ঝলক দেখার জন্য মন্নতের সামনে ভক্তদের ঢল নামে। দক্ষিণের এই রাজেও শাহরুখের অনুরাগী সংখ্যা অবিচল রয়েছে। আজ তার আর আলাদা করে পরিচয় লাগেনা৷ ইন্ডাস্ট্রিকে গাছের ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন তিনি। কিন্তু আজকের এই কিং খান হয়ে ওঠার পথ টা এতটা সহজ ছিলনা।
প্রতিবছর বহু ছেলে মেয়ে মুম্বাইতে আসেন বড় অভিনেতা হবার স্বপ্ন নিয়ে। তাদের মধ্যে কিছু সফল হন তো কিছু ব্যর্থ। তাদের বেশিভাগের কাছেই অনুপ্রেরণা শাহরুখ খান। আজ কোটি কোটি টাকার পারিশ্রমিক পান শাহরুখ খান। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হওয়ায় রীতিমত রাজকীয় ভাবেই জীবনযাপন করেন তিনি। কিন্তু একদিন এসব কিচ্ছু ছিল না।
শাহরুখের শৈশব কেটেছে বিপুল দারিদ্রে। তার বাবা ছিলেন অতি সরল সোজা একটি মানুষ। ব্যবসা করতে গিয়ে ঠকে হয়েছিলেন ভূত। আর তার জেরেই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল শাহরুখের পরিবার৷ এমনকি এতটাই অভাবে তারা ছিলেন যে শাহরুখের স্কুলের বেতন টুকু দেওয়ারও সামর্থ্য ছিলনা তাদের৷ আর মাইনে দিতে না পাড়ায় একবার শাহরুখকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর উপায় না দেখে সংসার চালানোর টাকা টুকু দিয়েই সেবার ছেলের মুখ রক্ষা করেছিলেন শাহরুখের পরিবার৷
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন শাহরুখ। এরপর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে শুরু করেন৷ যদিও ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার আগেই শাহরুখ পিতৃহারা হন। সুতরাং হাজার কষ্টেও তার পড়াশোনা বন্ধ হতে দেননি তার বাবা৷ আজ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক শাহরুখ খান।