ফিল্মি দুনিয়ার তথাকথিত সুন্দরী অভিনেত্রীদের সাথে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে কতকখানি টেক্কা দেবেন জানা নেই। তবে নিজস্ব অভিনয় দক্ষতায় ১২ তম দাদাসাহেব ফালকে চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২(Dadasaheb Phalke Film Festival 2022)-এ সেরা অভিনেত্রীর (Best Actress)পুরস্কার পেয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সেই অসাধ্য সাধন করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন মেয়েটি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে সাঁওতালি সিনেমা জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা গায়িকা ডগর টুডু (Dagar Tudu) প্রসঙ্গে।
সম্প্রতি রায়গঞ্জের গ্রাম্য পরিবেশ ও অনাথ আশ্রমের প্রেক্ষাপটে তৈরি সাঁওতালি সিনেমা ‘আশা’ (Asha)-য় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক আদিবাসী কন্যার চরিত্রে ডগর টুডুর দুর্দান্ত অভিনয় তাবড় সিনে বোদ্ধাদের প্রশংসার পাশাপাশি মন জয় করে নিয়েছে। ছবিটি চলতি বছরেই কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও জায়গা করে নিয়েছিল। পল্লব রায় পরিচালিত এই ছবিটির প্রযোজক ছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। যার শুট্যিং হয়েছিল সোহারই গ্রামে।
পুরুলিয়ার মানবাজার ১নং ব্লকের বাসিন্দা ডগর টুডুর পুরো নাম ডগরমুনি টুডু। বর্তমানে তিনি সাঁওতালি (Santali) বিনোদন জগতের পরিচিত নাম তিনি। জানা যায় ডগরের বয়স তখন মাত্র ১২ বছর। সেই সময় থেকেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় তার। দীর্ঘ এক দশকের অভিনয় জীবনে একাধিক পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
তবে শুধু সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী হিসাবেই নয় ডগর একজন জনপ্রিয় সাঁওতালি গায়িকাও। নিজে গান গাওয়ার পাশাপাশি সাঁওতালি ভাষায় গান লিখে সেই গানে সুরও দিয়েছেন ডগর। ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে তাঁর বহু মিউজিক ভিডিয়ো। বর্তমানে সাঁওতালি ভাষার বহু ছবি এবং গানের ভিডিয়োয় কাজ করছেন ডগর।
শুধু তাই নয়,বর্তমানে সাঁওতালি ভাষার একটি টিভি চ্যানেলের অন্যতম প্রধান মুখ হিসাবেও দেখা যায় এই অভিনেত্রী কে। তবে বিনোদন জগতেই শিক্ষা ক্ষেত্রেও যথেষ্ট এগিয়ে ডগর। জানা গেছে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই অভিনেত্রী সম্প্রতি বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাঁওতালি ভাষায় স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছেন। পাশাপাশি সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কাজেও অংশ নিয়ে থাকেন ডগর।