বলিউডের জগতে ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai) নামটা সকলেরই জানা। বিশ্ব সুন্দরী অভিনেত্রী ঐশ্বর্য, তার রূপ থেকে গুণ সবই দর্শকদের বারেবারে মুগ্ধ করেছে। বর্তমানে অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bacchan) পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য। বাচ্চনপুত্র অভিষেক বচ্চনকে (Abhishek Bacchan) ২০০৭ সালে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। একদশকের বেশি সময় আগের এই বিয়ে রীতিমত আইকনিক একটি বিয়ে ছিল বলিউডের।
বিয়ের পর সিঁথিতে অভিষেকের নামের সিঁদুর পড়েন ঐশ্বর্য রাই। কিন্তু সম্প্রতি একটি ছবি সামনে এসেছে যেখানে বিয়ের আগের সময়ের ঐশ্বর্যকে দেখা যাচ্ছে। তাও আবার সিঁথিতে সিঁদুর পরা অবস্থায়। পুরোনো এই ছবি বর্তমানে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সকলেরই মনে প্রশ্ন জগতে শুরু করেছে যে বিয়ের আগে কেন সিঁদুর পড়তেন অভিনেত্রী? আর কার নামের সিঁদুর পড়েছিলেন তিনি ছবিতে।
ছবিতে শুধুমাত্র ঐশ্বর্য রাই নয়, সাথে দেখা গিয়েছে একাধিক বলি সেলিব্রিটিকে। রানী মুখার্জী, করণ জোহর থেকে ফারাহান আখতারকেও দেখা যাচ্ছে। একই ফ্রেমে এই চার সেলিব্রিটির ছবি এমনিতেই বিরল তবে ছবিতে ঐশ্বর্যের সিঁথিতে থাকা সিঁদুর নানা জল্পনার সৃষ্টি করেছে। কেন ঐশ্বর্যের সিঁথিতে সিঁদুর রয়েছে? এই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
সত্যিই কি তবে ২০০৭ সালে অভিষেককে বিয়ের আগেও বিবাহিত ছিলেন অভিনেত্রী? না একেবারেই না। আসলে ছবিটি ২০০১ সালের অর্থাৎ বিয়েরও ৬ বছর আগের ছবি। তবে সেই সময় মোটেও বিবাহিত ছিলেন না ঐশ্বর্য। গত শুক্রবার ফারাহ খান (Farah Khan) এই ছবিটি শেয়ার করেন। সাথে জানান কি উপলক্ষে ছবিটি শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।
বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান। ২০০১ সালে তিনি নিজের নতুন বাড়ি কিনেছিলেন। আর সেই উপলক্ষেই পার্টি করছিলেন বলিউডের বড় বড় সেলিব্রিটিদের নিয়ে। কিন্তু তাহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে সিঁথিতে সিঁদুর কেন? এর উত্তর হল সেই সময় দেবদাস ছবির জন্য শুটিং চলছিল। শাহরুখ খান ও ঐশ্বর্য রাইয়ের আইকনিক ছবি দেবদাসের শুটিংয়ের জন্যই সিঁদুর পড়েছিলেন ঐশ্বর্য। সেই সিদুঁরটাই মুছতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। তাই ছবিতে সিঁথিতে সিঁদুর নিয়ে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে।
প্রসঙ্গত, একদশকেরও বেশি সময় আগে বলিউডের বিগ বাজেটের ছবি ছিল দেবদাস। ছবিতে শাহরুখ ঐশ্বর্য চাও মাধুরী দীক্ষিত, জ্যাকি শ্রফ, কিরণ খের, স্মিতা জয়কার এর মত একাধিক তারকারা ছিলেন। ছবিটি বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা করেছিল। এমনকি আজও ছবির জনপ্রিয়তা অনেকটাই রয়ে গিয়েছে।