রবিবার সকালটা ছুটির দিন হলেও শুরুটা হয়েছে দুঃসংবাদ দিয়ে। ‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে চমকে গিয়েছেন সকলেই। গড়ফায় তাঁর নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। কিন্তু হটাৎ আত্মহত্যা কেন করতে যাবেন অভিনেত্রী? এই প্রশ্ন শুরু থেকেই ঘুরছিল সকলের মনেই। অভিনেত্রীর দেহ পাঠানো হয়েছিল ময়না তদন্তের জন্য।
ইতিমধ্যেই পল্লবী দের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেমনটা জানা যাচ্ছে প্রাথমিক রিপোর্ট আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে এবিষয়ে এখনই কোনো রকম তথ্য দিতে বা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নারাজ পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলেও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায়রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
প্রাথমিক রিপোর্ট আত্মহত্যার দিকে ইঙ্গিত দিলেও অভিনেত্রীই পল্লবীর বাবার অভিযোগ খুন করা হয়েছে। কারণ এমন হাসি খুশি মেয়ে হটাৎ আত্মহত্যা করতে যাবে কেন? তাছাড়া একেরপর এক সিরিয়ালে কাজও পাচ্ছিলেন তিনি। এছাড়াও মৃত্যুর আগের দিন অর্থাৎ শনিবারেই মায়ের থেকে ডালনার রেসিপি শিখেছে সে। আত্মহত্যা করার আগে কেউ নতুন রান্না শিখতে চায়? বুঝদার মেয়েছিল পল্লবী তাই আত্মহত্যা করতে পারেনা বলেই দাবি বাবার।
এদিন পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর প্রথম পুলিশের কাছে পৌঁছে দেয় তাঁরই সঙ্গী তথা লিভ ইন পার্টনার কাম প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। একমাসও হয়নি এই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে লিভ ইন করতে শুরু করেছিল পল্লবী ও সাগ্নিক। সাগ্নিক একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকরিরত। সাগ্নিকের বাবা চেয়েছিলেন দুজন বিয়ে করে নিক কিন্তু সেটা হয়নি। অথচ ফেব্রুয়ারি মাসের একটি ছবি দুজনের বাগদানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রবিবার পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে,, শনিবার রাতে দুজনের মধ্যে ঝামেলা ও কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রবিবার সকালেও একইভাবে অশান্তি হয়। তারপর কিছুক্ষণের জন্য বাইরে চলে যান সাগ্নিক সিগারেট খাওয়ার জন্য। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। দরজা ভাঙলে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। তারপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
সমস্ত ব্যাপার নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। সাগ্নিক মৃত্যুর আগের দিনের ঝামেলার কথা স্বীকার করেছে। এদিকে পল্লবীর বাবার মতে আত্মহত্যা করেনি মেয়ে। এখন দুজনের সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল? কেন আত্মহত্যা করলেন অভিনেত্রী এই সমস্ত নিয়ে তদন্ত চলছে।