দিন গড়িয়ে সন্ধ্যে নামলেই বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’ (Mithai), TRP রেটিং চার্টে ফলাফল যাই হোক না কেন এই ধারাবাহিক এবং এর চরিত্ররা মানুষের মনে অন্য জায়গা করে রয়েছে। ধারাবাহিকে ট্যুইস্ট এর পর ট্যুইস্ট এনে হাজির করছে নির্মাতারা। তাই মিঠাই চললে চেয়ার ছেড়ে ওঠার জো থাকেনা৷
ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে সিদ্ধার্থর গাড়িকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে জলে। এরপর সেখানে পুলিশ সহ পরিবারের সকলে উপস্থিত হয়েছে। গাড়ি জল থেকে উদ্ধার করলেও তাতে সিদ্ধার্থ নেই। একপ্রকার সকলেই ভাবছে যে সিদ্ধার্থ হয়তো আর বেঁচে নেই। এরপরেই দিনের বেলা থেকে সন্ধ্যের দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে রকস্টার সিদ্ধার্থকে। নিজের এবং মিঠাইরানির প্রাণহানির আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে রিকি দ্য রকস্টারের ছদ্মবেশ নিয়েছে সিড।
তার পরিবারকে নিয়ে চলা চক্রান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সকলের প্রিয় উচ্ছেবাবু৷ কিছু অসৎ ব্যবসায়ীকে হাতে নাতে ধরতেই এমন ফন্দি এঁটেছেন সিড। এদিকে মিঠাইকেও সর্বক্ষন চোখে হারাচ্ছে দাদুর রাগি নাতি, তাই বউয়ের কাছে কাছে থাকতেই এই প্ল্যান। নিজের পরিচয় এই মুহুর্তে গোপন রাখলেও, আগেই মিঠাইকে সাবধান করেছিল সিড।
তাই মিঠাই ও ভেঙে না পড়ে সিদ্ধার্থকে বাড়ি নিয়ে আসে। এই মুহুর্তে আবার ধারাবাহিকে এন্ট্রি নিয়েছে স্যান্ডির নতুন গার্লফ্রেন্ড, শোনা যাচ্ছে সে নাকি ওমি আগরওয়ালের বোন। মোদক পরিবারের আরও ক্ষতি সাধন করতেই এই প্ল্যান বানিয়েছে ওমি।
সম্প্রতি একটি প্রোমোতে দেখা গেল, মনোহরার সামনে ছদ্মবেশে গান গাইছে সিডি বয়। বাউল বেশে তার হাতে একতারা। গান ধরেছে,” তারে ধরি ধরি মনে করি ধরতে গেলে আর পেলাম না। দেখেছি রুপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা”। তখন সকলেরই চোখে পড়ে সে। বাড়ির সকলে বাইরেও বেরিয়ে আসে। এখন প্রশ্ন, কেন এমন ছদ্মবেশে এন্ট্রি নিল সে। তবে কি নতুন কোনোও বিপদ?