সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly), নাম তাই যথেষ্ট তাঁর পরিচয় দেবার জন্য। বিখ্যাত ক্রিকেটার তথা ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি। তাঁর অগণিত ফ্যানেরা তাকে ‘দাদা’ বলেই সম্মোধন করে থাকে। আর জি বাংলার পর্দায় রিয়্যালিটি শো ‘দাদাগিরি’তে (Dadagiri) সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। তবে দাদাগিরি সঞ্চালনা করলেও কিছু ক্ষেত্রে সৌরভের দাদাগিরি কিন্তু কাজ করেনি।
হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন, কিছু ক্ষেত্রে দাদার দাদাগিরিও ফুস হয়ে যায়। বিশেষ করে ভুতের ক্ষেত্রে তো হয়ই। দাদাগিরিতে সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা সকলেই খেলতে এসে দাদার জন্য প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়। তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হোক বা আড্ডার সময় দাদার জীবনের অনেক অজানা কাহিনী প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি দাদার ভুতের ভয়ের (Ghosh Fear) কথা সামনে এসেছে দাদাগিরির মঞ্চে।
ভাবছেন কি হচ্ছে ব্যাপারটা? চলুন থালে খুলে বলা যাক। ডোনা গাঙ্গুলিকে বিয়ের পর সস্ত্রীক রাজস্থান ভ্রমণে গিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। না না হানিমুন নয়, আসলে ১৯৯৭ সালে একটি বিজ্ঞাপণীর জন্য শুটিংয়ের লোকেশন ছিল রাজস্থান। সেখানে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। যার জেরে দু রাত নাকি ঘুমোতে পারেননি দাদা। দাদাগিরির মঞ্চেই সেই কাহিনী নিজের মুখেই শেয়ার করেছেন তিনি।
সোহম চক্রবর্তীকে ভুতের কথা জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে দাদা জানান, যে তিনিও ভুতে বিশ্বাস করেন ও একবার ফিল পর্যন্ত করতে পেরেছিলেন। রাজস্থানে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য যখন যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় ভোর ৪টের সময় উঠতে হত শুটিংয়ের জন্য, কারণ রোদ বেড়ে গেলে কাজ করা যেত না। কিন্তু মুশকিল হল যে হোটেলে থাকছিলেন তিনি সেটা ছিল পুরোনো দিনের যেকোনো এক রাজা মহারাজার প্যালেস। সেখানে টাঙানো থাকতো ইয়া বড় বড় সব ছবি।
রাতের বেলায় ঘরে শুয়ে স্ত্রী ডোনা ঘুমিয়ে পড়লেও জেগেই বসে থাকতেন দাদা। প্রথমদিন তো সিনেমা দেখেই কোনোমতে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয়দিন স্ত্রী ঘুমালেও জেগে বসেছিলেন দাদা। আর ঘরের মধ্যে আরও অন্য কেউ আছে এমনটা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এদিন দাদা আরও জানান যে ভুতে সত্যিই তিনি বেশ ভয় পান। এর জন্য শুটিংয়ের জন্য একা কোথাও গেলে বড় ঘর নয় বরং ছোট্ট একরুমের ঘর বেছে নেন তিনি। আর নিজের বড় বাড়িতেও যদি কোনো কারণে কেউ না থাকে তাহলে একা থাকতে পারেন না তিনি। দাদাগিরির পুরোনো এই ভিডিওটি বর্তমানে আবারও নতুন করে বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে।