রসিকতা আর মীর (Mir) যেন সমার্থক শব্দ,কিন্তু মাঝে মাঝে তার গুণই কাল হয়ে দাঁড়ায়। আজ বৈশাখের ২৫ তারিখ। কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা তথা সারা বিশ্বে আজ পুজোর আমেজ, আজ যে ঠাকুরের জন্মদিন। প্রাণের ঠাকুর, গানের ঠাকুর রবি ঠাকুরের জন্মদিন আজ। মানুষের জীবনের এমন কোনোও পরিস্থিতি বা আবেগ নেই যা নিয়ে রবি ঠাকুর গান লেখেন নি, কবিতা লেখেননি। আনন্দ, বেদনা, দুঃখ, যন্ত্রণা, প্রেম, বিরহ সবেতেই তাঁর রচনা, তাঁর সৃষ্টি আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর গান, তাঁর সুর দোলা দেবেনা এমন মানুষ বোধ হয় সারা বিশ্বে নেই। আর তাইই তো তিনি ‘বিশ্বকবি’।
আজ সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কবি গুরুর নানান সৃষ্টিতে কেউ নাচ, কেউ গান, কেউ বা আবৃত্তি করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন৷ কিন্তু মীর তো আর সকলের মত সাধারণ ভাবে শ্রদ্ধা জানানোর পাত্র নন, তিনি এদিন এক্কেবারে রবীন্দ্রনাথ সেজেই রবি ঠাকুরকে ছড়া কেটে ‘বার্থডে উইশ’ করেছেন। ২৫ শে বৈশাখের বিকেলে মীরের এহেন ছবি দেখে হতবাক নেটিজেনরা।
তার পরনে আলখাল্লা, চোখে গোল গোল চশমা, লম্বা লম্বা সাদা দাঁড়ি। শুধু রবি ঠাকুর সেজেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি, সাথে কবির জন্মদিনে ছড়াও কেটেছেন সঞ্চালক তথা অভিনেতা। রবি ঠাকুরের লেখা অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ আদলে তিনি মীর লিখছেন, ‘আজি এ প্রভাতে রবির কর / কেমনে পশিল প্রাণের পর’ নিয়েই প্যারোডি লিখেছেন,’আজি এ দিবসে রবির চড়/কেমনে বসিল গালের ‘পর/জন্মদিনের কেক কাটিবেন মহান বিশ্বকবি/বিশ্বভারতীরও কাছে নাই রবির এমন ছবি…’।
মীরের এই রসিকতায় যেমন নেটিজেনদের একাংশ বেজায় মজেছেন, তেমনই একদল আবার বলছেন, “রবি ঠাকুর কেক কাটবেন, ফাজলামি পেয়েছেন?”, “আজ কি ফাজলামি করার দিন?”, তবে প্রতিবারের মতোই এবারেও নীরব মীর। তাকে কোনোওরকম উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali) এই নামটা শোনেননি এমন বাঙালি নেই। বাঙালির সকালই শুরু হয় ‘রেডিও মির্চির’ (Radio Mirchi) অনুষ্ঠান দিয়ে। আর সকালে রেডিও মির্চি মানেই সকাল ম্যান মীরের অনুষ্ঠান। রেডিও বাদ দিয়েও মীরের বেজায় জনপ্রিয়তা টেলিভিশনেও। তিনি যেমন একাধারে দারুণ সঞ্চালক, তেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আবার একজন অভিনেতাও তিনি। তবে সবার আগে তার জনপ্রিয়তা একজন ভালো মানুষ হিসেবেও। হাসির আঙ্গিকেও তার বলা একেকটা কথা মনে গভীর ভাবে দাগ কেটে যায়।