বেলাশেষে’ এমন একটা সিনেমা, বছরের পর বছর কেটে গেলেও যার রেশ কাটে না। তাই তো ফের একবার দর্শকদের মন জয় করতে বড় পর্দায় এবার আসতে চলেছে ‘বেলাশুরু’ (Belasuru)। মাঝখানে পেরিয়ে গিয়েছে সাতটা বছর। সেই পুরনো সিনেমার রেশ বজায় রেখে চলতি মাসের ২০ তারিখেই মুক্তি পেতে চলেছে শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা রায় পরিচালিত এই সিনেমা। এটিই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের শেষ অভিনীত ছবি। এরপর উভয়েই প্রয়াত হন।
ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য,খরাজ মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী দত্ত, সোহিনী সেনগুপ্ত, মনামী ঘোষের মত অভিনেতা অভিনেত্রীরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ছবির প্রচার। ছবির কলাকুশলীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি, ছবির প্রচারে একটি মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্র খরাজ মুখোপাধ্যায়। সেখানে তাকে বিভিন্ন শিল্পীদের মিষ্টির সাথে তুলনা করে একটি করে নাম দিতে বলা হয়। বেলাশুরু’ ছবির সকল চরিত্রকে হরেক রকম মিষ্টির নামে নামকরণ করেন তিনি। অবশ্য শুধু তারকারাই নয় সাথে ছবির পরিচালকের নামকরণও করেছেন।
পরিচালক শিবপ্রসাদকে জলভরা সন্দেশ বলেছেন তিনি। কারণ বাইরেটা দেখে শক্ত মনে হলেও মনের ভেতরটা কিন্তু একেবারেই নরম। এরপর আরেক পরিচালক নন্দিতা রায়কে নলেন গুড় বলেছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে রাবড়ি নাম দিয়েছেন অভিনেতা। আর স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে বলেছেন, পান্তুয়া। এমনকি অপরাজিতা আঢ্যর সুন্দর হাসির জন্য তাকে বলেন রসগোল্লা। কিন্তু মুশকিলটা হয়ে গেল ঋতুপর্ণার নাম নিতেই, তাকে একেবারে প্যাচে প্যাঁচানো জিলিপি বলেন খরাজ৷ বলাই বাহুল্য এই পুরো বিষয়টিই ছিল রসিকতার আঙ্গিকে করা। কিন্তু তার এই রসিকতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় তীব্র আলোচনা৷
বিতর্ক ক্রমেই বাড়তে থাকে, ঋতুপর্ণাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও করা হয়। অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজেই নিজের মন্তব্যের জন্য ঋতুপর্ণার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন খরাজ মুখার্জি। ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন,” ইন্ডাস্ট্রির ব্যস্ততম নায়িকা ঋতুপর্ণা। উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবশ্রী রায়, তাপস পাল, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়রা মিলে বাংলা বিনোদন দুনিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তাই আজও অভিনেত্রী আমার চোখে ‘দেবী লক্ষ্মী’।