গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছেন বলিউডের খিলাড়ী অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)। দিন কয়েক আগেই গুটখা আর পান মশলার বিজ্ঞাপন করে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা। পরে অবশ্য এই বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি, এবং ক্ষমাও চান অনুরাগীদের কাছে। তার অভিনয়ের দক্ষতা সম্পর্কেও নতুন করে বলার কিছুই নেই। তার কখনোই কাজের অভাব হয়না। এই বয়সেও তিনি রোমান্স, অ্যাকশন বা কমেডি সবেতেই ওস্তাদ। সত্যি বলতে তিনি পর্দায় এলেই মানুষের বিনোদনের ওভাব কখনোই হয়না।
দিন কয়েক আগেই পরপর দুটি ব্লকব্লাস্টার হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন বলি খিলাড়ী অক্ষয় কুমার, ছবি দুটি হল ‘অতরাঙ্গি রে’ এবং ‘সূর্যবংশী।’এই বয়সেও পর্দায় তার রোমান্স দেখলে মনে লাড্ডু ফুটবে অষ্টাদশীর কিশোর কিশোরীর। তার মতো হ্যান্ডসাম বলিউডে খুব কমই রয়েছে। তার মন ভোলানো হাসি, ঘন সুন্দর চুল, দারুণ ফিগার আজও তরুণী কিশোরীদের রাতের ঘুম কাড়ে৷
কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেন না, পর্দার অক্ষয় আর বাস্তবের অক্ষয়ের মধ্যে রয়েছে আকাশ পাতাল তফাৎ। তার ঢেউ খেলানো টেরি কাটা চুলের নেপথ্যে আসলে রয়েছে মস্ত বড় টাক৷ অনেক বছর আগে ‘প্যাডম্যান’ ছবির প্রচারে এসে তার আসল রূপ দেখে কার্যত চমকে যান অনুরাগীরা। সেবার তিনি কোনোও রকম উইগ ছাড়াই প্রচারে এসেছিলেন। কারণ তিনি চেহারা নিয়ে কোনোওকালেই রাখঢাক পছন্দ করেন না।
চর্ম চিকিৎসকদের মতে, অক্ষয়ের হেয়ার ফলিকলস যথেষ্ট দূর্বল। এই কারণে তার বন্ড করা চুল ও টেকেনি। সলমন খানের ও অক্ষয়ের মতো টাক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সলমন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করে নিয়েছিলেন। কিন্তু অক্ষয় আর নিজের শ্যুটিং এর চাপে করিয়ে উঠতে পারেননি।
এদিকে, ‘কেশরি’ ফিল্মের শুটিংয়ের সময় মাথায় পাগড়ি পরতে হয়েছিল অক্ষয় কুমারকে, এর জেরেই গরমের জ্বালায় চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন অক্ষয়। একসময় অক্ষয়ের চুল দেখে যুবকেরা চুলের স্টাইল করতেন৷ শরীরচর্চার ফলে অত্যধিক ঘাম হেয়ার ফলিকলসে জমে তা দূর্বল করে দিত। এছাড়াও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুলে জেল অন্যান্য ক্যামিকাল ব্যবহার করায় তাদের চুল খারাপ হয়ে যায়৷