সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে বিনোদনের ডেলিডোজ হল মেগা সিরিয়াল। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে পছন্দের সিরিয়াল দেখতে ভালোবাসেন কমবেশি সকলেই। দর্শকদের কাছে দারুন জনপ্রিয় স্টার জলসার এমনই একটি সিরিয়াল হল ধূলোকণা (Dhulokona)। লীনা গাঙ্গুলীর লেখা এই সিরিয়াল অল্প দিনেই দারুন জনপ্রিয় হয়েছে দর্শকমহলে।
আর ইদানীং তো বাংলার দুই বেঙ্গল টপার সিরিয়াল ‘মিঠাই’ আর ‘গাঁটছড়া’ কে টেক্কা দিয়ে সেরার মুকুট ছিনিয়ে টি আর পি লিস্টে প্রথম হয়েছে লালন ফুলঝুড়ির ধূলোকণা। ধারাবাহিকে নায়ক লালনের চরিত্রে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রাশীষ রায় (Indrashish Roy) । আর নায়িকা ফুলঝুড়ির চরিত্রে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানালি দে (Manali Dey) কে। এই সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ এই লালন (Lalon)- ফুলঝুড়ির (Phuljhuri) জুটিই।
ঝগড়া দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে একে অপরকে চোখে হারাতে শুরু করে লালন ফুলঝুড়ি। সেই থেকেই তাদের বিয়ে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শক। কিন্তু একের পর এক নতুন ট্র্যাক আর চড়ুইয়ের শয়তানি দেখানো হলেও লালন, ফুলঝুড়ির বিয়ে আর হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত তো ফুলঝুড়িকে বিয়ের মন্ডপ থেকে সরিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছে চড়ুই। এমনকি লালনকে দিয়ে প্রতারণা করে সিঁদুর পর্যন্ত পরিয়ে নিয়েছে চড়ুই।
আর এত কিছুর পরেও নিশ্চুপ ফুলঝুড়ি। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরেও কোনো নড়নচড়ন নেই তার। এমনকি দর্শকদের দাবি নিজের দোষেই নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছে ফুলঝুড়ি। লালনের সাথে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার পর থেকে ফুলঝুড়ির ওপর জোর খেপে রয়েছেন দর্শক। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধূলোকণার কোনো ভিডিও আসলেই ধরে ধরে কটাক্ষ করছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। সবাই তাকে ‘ন্যাকা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শুধু তাই নয় ফুলঝুড়ি কে দেখলেই সবার এত রাগ হচ্ছে যে রাগ চেপে না রাখতে পেরে সবাই তাকে ন্যাকাশ্রী পুরস্কার দেওয়ার কথা বলছেন। আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছেন ফুলঝুড়ির কথা বলার স্টাইল থেকে শুরু করে উচ্চারণ নিয়েও। প্রসঙ্গত সামনেই রবীন্দ্রজয়ন্তী। এই বিশেষ দিনের উদযাপনে স্টার জলসার তরফে ‘প্রাণ ভরিয়ে’ (Prano Voriye) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের প্রচারে লালন ফুলঝুড়ির একটা ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে ফুলঝুড়ির কথা বলার স্টাইল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।