পুষ্পা, আরআরআর থেকে KGF 2 এর মত ছবির সাফল্য কার্যত কোণঠাসা করে দিয়েছে বলিউডের ছবি গুলিকে। যেখানে ১০০ কোটি ২০০ কোটি পেরোতেই বলিউডের কালঘাম ছুতে যায় ,সেখানে সাউথের একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মাত্র কয়েকদিনেই ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০০ কোটির ক্লাব। সম্প্রতি মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘কেজিএফ ২’ ইতিমধ্যেই একাধিক ছবির রেকর্ড ভেঙে এখনও রমরমিয়ে ব্যবসা করছে।
ছবিতে নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে দক্ষিণী অভিনেতা যশকে (Yash)। আর খলনায়ক আধীরার (Adheera) চরিত্রে দেখা গিয়েছে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে (Sanjay Dutt)। ছবিতে হিরো যেমন প্রশংসিত হয়েছে তেমনি সঞ্জয় দত্তের অভিনয়ও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রথম যখন আধীরার লুক প্রাকাশ্যে আসে তখন থেকেই ছবি নিয়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। রিলিজের পর তারই ফল দেখা যাচ্ছে।
আজ পর্যন্ত বলিউড ,হলিউড বা অন্যত্র যত ভিলেন দেখা গিয়েছে আধীরা চরিত্রটি সবচেয়ে বিপদজনক এবং ভয়ঙ্কর বলেই মোট দর্শকদের। সঞ্জয় দত্তের তুখোড় অভিনয়ে হাড় হিঁ হয়ে এসেছে সকলের। এই চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত। একজন শিল্পীর সাফল্য বোধয় সেখানেই ,যখন তার নিজের নামের চেয়ে বেশি পরিচিত হয়ে ওঠে তার চরিত্রের নাম। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাব , সঞ্জু বাবার কঠোর পরিশ্রমের কথা যার জেরেই তিনি হয়ে উঠতে পেরেছেন আধীরা।
KGF 2 সিনেমার ট্রেলার লঞ্চ হওয়ার আগেই সঞ্জয় দত্তের লম্বা বিনুনি, লাল চোখ এবং লোহার বর্ম পরা লুক নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে। স্টাইলিশ নবীন শেঠি কেজিএফ 2 মুভিতে সঞ্জয় দত্তকে রূপদান করেছেন। প্রতিদিন তাকে সাজাতেই ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যেত। ওমন উদ্ভট সাজ ধৈর্য ধরে বসে শেষ করতেন সঞ্জয়। ২৫ কেজির লোহার বর্ম পরে চালিয়ে যেতেন শ্যুটিং।
এই পর্যন্ত তও ঠিক আছে। বুঝতেই পারছেন একজন সুষ্ঠ মানুষের কাছেই এই পোশাক পরে অভিনয় করা কতটা কষ্টসাধ্য, একজন অসুস্থ মানুষের কাছে তো এ কাজ কার্যত অসম্ভব। কিন্তু এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন পর্দার আধীরা। এক সাক্ষাৎকারে , মুন্না ভাই জানান সেই সময় তার শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ ক্যান্সার ,তবু হার মানেননি অভিনেতা। ক্যান্সারের চিকিৎসার পাশাপাশিই চালিয়ে গিয়েছিলেন শুটিং।