দীর্ঘদিন রমজান মাসের শেষে গতকাল ছিল খুশির ঈদ। এবার ঈদের দিন পড়েছিল হিন্দুদের উৎসব অক্ষয় তৃতীয়াও। সারাদিন কাল ছুটির আমেজেই ছিল বাঙালি। তার উপর সকাল থেকে বৃষ্টির পর ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজে চুটিয়ে উপভোগ করা গিয়েছে উৎসবের দিন। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ, এদেশ বৈচিত্র্যের। এখানে সম্প্রীতিই মূল। এবার খুশির ঈদের দিনেও শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তাই দিলেন মীর।
সাদা কুর্তা-পাজামা, মাথায় ফেজ টুপি পরে ঈদের সাজে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন মীর আফসার আলি, পিছনে তার জ্বল জ্বল করছে দুর্গা মূর্তি। তার সামনে দাঁড়িয়েই মীর দরাজ গলায় বললেন,”ঈদ মুবারক, মীরের তরফ থেকে আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আজকে রমজান মাসের এক মাস বাদে খুশির উৎসব, খুশির ঈদ৷ আপনারা ভালো থাকবেন, ভালো ভাববেন, ভালো খাওয়া দাওয়া করবেন”।
এছাড়াও মীর অক্ষয় তৃতীয়ার শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন। অর্থাৎ তার পোস্টে বারংবার লক্ষ্য করা গিয়েছে সম্প্রীতির বার্তা। ভিডিও পোস্ট করে মীর ক্যাপশনে সাফ লিখেছেন, “ঈদের নামাজে আজ সকল সম্প্রদায়ের জন্য দোয়া করলাম, আপনারা খুব ভালো থাকবেন। ”
এই প্রথমবার নয় এর আগেও হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলমান সব ধর্মের উতসবেই মীর নিত্য নতুন ভঙ্গিমায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর সবেতেই তার মানবতার নজির স্পষ্ট। দুর্গাপুজো বা দিওয়ালি কিংবা ইদ,ক্রিস্টমাস, তিনি শুভেচ্ছা জানান বন্ধু-বান্ধব, অনুরাগীদের। এবছর শিব রাত্রির দিন শিব সেজে ছবি দিয়েও একদল কট্টরপন্থী হিন্দু নেটিজেনদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন মীর।
প্রসঙ্গত, একটা করে উৎসব আসে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের শিকার হন মীর (Mir)। সে দুর্গা পুজো হোক, শিব রাত্রি হোক, ঈদ হোক বা পয়লা বৈশাখ। নেটিজেনদের একাংশ যেন কিছুতেই মানতে পারেন না মীরের হাবভাব৷ মীর একটা বহুমুখী প্রতিভার নাম, তাই আলাদা করে তার পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই জানি, তবু ছোট করে একটু বলে রাখা ভালো।
View this post on Instagram
মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali) এই নামটা শোনেননি এমন বাঙালি নেই। বাঙালির সকালই শুরু হয় ‘রেডিও মির্চির’ (Radio Mirchi) অনুষ্ঠান দিয়ে। আর সকালে রেডিও মির্চি মানেই সকাল ম্যান মীরের অনুষ্ঠান। রেডিও বাদ দিয়েও মীরের বেজায় জনপ্রিয়তা টেলিভিশনেও। তিনি যেমন একাধারে দারুণ সঞ্চালক, তেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আবার একজন অভিনেতাও তিনি। তবে সবার আগে তার জনপ্রিয়তা একজন ভালো মানুষ হিসেবেও। হাসির আঙ্গিকেও তার বলা একেকটা কথা মনে গভীর ভাবে দাগ কেটে যায়।তার প্রখর হাস্যরসের প্রশংসাও না করে পারা যায়না। কিন্তু কখনও সখনও গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই এই তার এই ডার্ক হিউমারের কারণে নেটিজেনদের তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাকে।