বাংলার সিরিয়াল প্রেমীদের মুখে মুখে ঘোরে এখন একটাই নাম,মিঠাই (Mithai)। বাংলার প্রথম সারির এই সিরিয়ালের দৌলতেই নায়ক সিড আর মিঠাই দর্শকদের নয়নের মণি। দর্শকদের ভালোবাসায় এখন কার্যত সাফল্যের সপ্তম স্বর্গে রয়েছেন সিরিয়ালের নায়িকা সৌমিতৃষা কুন্ডু এবং নায়ক আদৃত রায়। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে দর্শকমহলে তাদের চরিত্র এতটাই জনপ্রিয় যে বাস্তবেও দর্শকরা তাদের নিজেদের নামে নয় বরং সিদ্ধার্থ মিঠাই বলেই ডাকেন।
তবে ইদানীং মন ভালো নেই ভক্তদের। সিডের গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকে একের পর এক ঝড় বয়ে চলেছে মিঠাই রানির উপর দিয়ে। সেই থেকে মিঠাই রানি আর তার উচ্ছে বাবুকে একসাথে দেখতে না পেয়ে কার্যত হাঁপিয়ে উঠেছেন দর্শকরা। সিরিয়ালের প্লট অনুযায়ী সিডের অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে মাঝে কেটে গিয়েছে ৩ মাস। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সিডের কোনো খোঁজ না মেলায় মনোহরার সকলে প্রায় ধরেই নিয়েছেন সিড আর বেঁচে নেই।
কিন্তু মিঠাইয়ের বিশ্বাস গোপাল থাকতে তার উচ্ছে বাবুর কিছু হতেই পারে না। এরইমধ্যে সিরিয়ালের এন্ট্রি হয়েছে রিকি দ্য রকস্টারের। হুবহু সিডের মত দেখতে রিকিকে দেখে মিঠাইয়ের বিশ্বাস এটাই তার উচ্ছে বাবু। সম্প্রতি মিঠাই রানির চোখে জল দেখেই একথা নিজের মুখে স্বীকার করেছে রিকি ওরফে সিড। শত্রুদের ধরার জন্যই সে ছদ্মবেশ নিয়েছে, তাই কষ্ট হলেও এখনই মিঠাইরানিকে সত্যিটা জানাতে পারবে না সে।
এসবের মধ্যেই নিজেকে রিকির গার্লফ্রেন্ড বলে পরিচয় দিয়ে সিরিয়ালে এন্ট্রি নিয়েছে নতুন চরিত্র অ্যাঞ্জি। যদিও সকলের সামনে অ্যাঞ্জি সে নিজেকে রিকির প্রেমিকা বলে পরিচয় দেওয়ায় খানিকটা অস্বস্তি তে পড়ে যায় রিকি সেজে থাকা সিড। এরই মধ্যে সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে কীভাবে সিডের অ্যাক্সিডেন্টের পর তাকে বাঁচিয়েছে অ্যাঞ্জি। এদিকে সিড যখন এই ঘটনার জন্য অ্যাঞ্জির প্রতি কৃতজ্ঞ, তখন তার সেই দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার ফন্দি আঁটছে নতুন খলনায়িকা অ্যাঞ্জি। যা দেখে দর্শক বলছেন বড় জা তোর্সা কি কম ছিল যে আবার আলাদা করে অ্যাঞ্জিকে আনা হল!
নতুন এই নেগেটিভ চরিত্র কে একেবারেই পছন্দ করছেন না দর্শক। সকলেই বলছেন এই ধরনের চরিত্র দেখিয়ে মিঠাই সিরিয়ালটাকেও আর পাঁচটা গতে বাঁধা সিরিয়ালের মতো এক করে তুলছেন লেখিকা। নেটিজেনজদের কথায় ‘অ্যাঞ্জি গেঞ্জি কে বাদ না দিলে মিঠাই সিরিয়ালটাই নষ্ট হয়ে যাবে।’ সম্প্রতি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রকাশ্যে এসেছে সিরিয়ালের একটি পর্বের ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে অ্যাঞ্জিকে না বলে সিড চলে যাওয়ায় মেজাজ নিতে শুরু করে সে। এসব দেখে মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় অ্যাঞ্জিকে দুচার কথা শুনিয়ে দেয় সিড। এরপরেই আবার ভাবতে শুরু করে আসলে অ্যাঞ্জি তো এসব তার ভালোর জন্যই বলছে। সব মিলিয়ে এখন বেশ দোটানায় রয়েছে সিড।