অনীক দত্তের (Anik Dutta) ছবি ‘অপরাজিত’ (Aparajito) মুক্তির অনেক আগেই সারা ফেলে দিয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র মহলে। ছবির ফার্স্ট লুকে ‘ সত্যজিৎ রায়‘ (Satyajit Roy) এর চরিত্রে রীতিমত সকলকে অবাক করে ইডিয়েছেন জিতু কমল (Jeetu Kamal)। রূপসজ্জা শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু নিজের হাতের জাদুতে আসল নকল সত্যজিৎ এর পার্থক্য করা মুশকিল। তবে শুধুই যে মেকআপ তা কিন্তু নয়, নিজের শারীরিক গঠন থেকে দৈনন্দিন জীবন যাপনের ধরণটাও সম্পূর্ণরূপে পাল্টে ফেলেছেন জিতু।
পরিচালক অনিক দত্ত শুরুতে তরুণ বয়সের সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রের জন্য ভেবেছিলেন জিতুকে। কিন্তু পরে তরুণ নয় বরং বড়বেলার সত্যজিৎ তথা ‘মানিক বাবু’ চরিত্রই দেওয়া হয় অভিনেতাকে। সাথে সাথে পরিচালকের কথা মত বদলে ফেলতে হয় জীবন যাপনের ধারা থেকে শারীরিক গঠনও। শুধু অভিনয় আর মেকআপ নয় সত্যজিৎ রায়ের মত কথা বলা, হাঁটা চলা, খাওয়া সবটাই রপ্ত করতে হবে।
সত্যজিৎ রায়ের মত নিজেকে তৈরী করতে কঠোর নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলেন জিতু। কারণ সত্যজিৎ রায় বাঙালিদের কাছে শুধু নাম নয় আবেগ। তাই বিন্দুমাত্র ত্রুটিও রাখতে চাননা পরিচালক। খুঁত থাকলেই ক্ষুদ্ধ হবেন সমালোচকরা, উঠবে নিন্দার ঝড়। অবশ্য সেটা আটকানো যায়নি ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আসতেই প্রশংসার পাশাপাশি জুটেছিল সমালোচনাও।
সত্যজিৎ রায়ের মত দেখাতে দাঁতের মাঝে ফাঁক না থাকায় মেশিনের সাহায্যে সেটা করিয়েছেন। অভিনেতার স্ত্রী নবনীতা সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন কিছুদিন আগে। এছাড়াও প্রায় ১০ কেজি ওজন কমিয়েছেন জিতু কমল। এর পাশাপাশি মানিকদের মত খাবারের রুটিন পর্যন্ত সাজিয়ে ছিলেন। আজ সেই সারাদিনের তালিকা আজ আপনাদের জন্য রইল।
সকালে ফল খেতে ভালোবাসেন, এমনকি সকালের শুটিংয়ের সময়েও কাছ থাকে ফল। তবে গরম অতিরিক্ত পড়ায় ফলের পাশাপাশি মেনুতে জুড়েছে টক দই। দুপুরে ভাত নয় বদলে ব্রাউন রাইস, তাও বাড়ি থেকে তৈরী করে আনা। সাথে সবজি, দুপিস মাছ অথবা মুরগির পাতলা ঝোল। রাতের খাবার ৯-১০টার মধ্যে শেষ করে ফেলেন তিনি।
শুধু খাওয়া দাওয়া মেনে চলেই শেষ নেই। নিয়ম মত দৌড়ানো থেকে সকালে কার্ডিও, পুশআপ করে শরীরচর্চা করেন জিতু। আসলে বরাবরই শরীর নিয়ে বেশ সচেতন তিনি। তাই সুস্থ সতেজ থাকতে শরীরচর্চা প্রয়োজনীয় বলেই মনে করেন তিনি।