আমাদের দেশের গানের জগতের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ হলেন কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। কথায় আছে শিল্পীর মৃত্যু হয় না। কিশোর কুমারের ক্ষেত্রেও কথাটা পুরোপুরি প্রযোজ্য। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘোরাঘুরি করছে এই কালজয়ী সঙ্গীত শিল্পীর এক অজানা প্রেম কাহিনীর গল্প। আসলে সদ্য একটি রিয়ালিটি শো-তে সুদেশ ভোঁসলের সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন কিশোর কুমারের চতুর্থ স্ত্রী লীনা চন্দ্রোভারকর (Leena Chandavarkar)।
সেখানে উপস্থিত শোয়ের সঞ্চালক জয় ভানুশালি এই বর্ষীয়ান বলি অভিনেত্রীর কাছে জানতে চান কীভাবে লীনা আর কিশোর কুমারের বিয়ে হয়? জয়ের প্রশ্নের উত্তরে লীনা জানান ‘প্যায়ার আজনবি হ্যায়’ ছবির সেটেই তাঁর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল কিশোর কুমারের। আর সিনেমার সেটে প্রথম দেখাতেই নাকি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং কিশোর কুমার।
লীনা চন্দ্রোভারকরের কথায় ‘‘কিশোর কুমার প্রথম দিনই আমায় জিজ্ঞাসা করেন, আমি আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে চাই কি না। প্রথমটায় বুঝতে পারিনি। পরে আমায় সরাসরিই বললেন, উনি আমায় বিয়ে করতে চান। প্রথমে তো চমকে যাই এই প্রস্তাবে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই না বলে দিই।’’ সেসময় তাঁর নায়ক সঞ্জীব কুমার (Sanjeev Kumar)-ও নাকি সাবধান করে লীনাকে বলেছিলেন, ‘‘ভাল চাও তো কিশোরকে রাখি পরিয়ে দাও। নইলে তোমায় ওকেই বিয়ে করতে হবে।’’
আসলে লীনা ছিলেন তখন সদ্য বিধবা পঁচিশ বছরের তরুণী। আর কিশোর কুমার ছিলেন তার থেকে বয়সে প্রায় কুড়ি বছরের বড়। এছাড়া ততদিনে তিনবার বিয়েও হয়ে গিয়েছিল কিশোর কুমারের। আর তাছাড়া কোনো বাবাই চান না তার আদরের মেয়ের সাথে বয়সে বড় তিন বার বিবাহিত একজন মানুষের বিয়ে হোক। তাই কিশোর কুমারের থেকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে প্রথম দিনেই মুখের ওপর ‘না’ বলে দিয়েছিলেন লীনা।
তাহলে পরবর্তীতে তাঁদের বিয়ে হল কি করে! এক মজার ঘটনা জানিয়ে লীনা বলেন, একদিন বাড়িতে বাবার সঙ্গে তাঁর তুমুল ঝগড়া হয়। রাগের মাথায় বাবা তাকে ‘ঝামেলা’ বলে উল্লেখ করেন। সেসময় রাগে, দুঃখে, অপমানে লীনার মনে হয়েছিল এর চেয়ে কাউকে বিয়ে করে তাঁর সংসারে থাকা ভাল। তাই বাড়ি থেকে সোজা বেরিয়ে বুথ থেকে কিশোরজিকে ফোন করে জানতে চান , তার বিয়ের প্রস্তাব যদি এখনও বহাল আছে কিনা।ওই এক ফোনেই কিশোর কুমার রাজি হয়ে যান বিয়ে করতে। তাঁদেরই সন্তান সুমিত কুমার।’