দর্শকমহলে লেখিকা লীনা গাঙ্গুলির (Leena Ganguly) লেখা খড়কুটো (Khorkuto) সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। একেবারে শুরু থেকেই বাঙালির যৌথ পরিবারের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিরিয়াল সহজেই মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের। একটা সময় ছিল যখন সাপ্তাহিক টি আর পি রেটিং চার্টের একেবারে প্রথম দিকেই জায়গা করে নিয়েছিল এই সিরিয়াল হয়ে উঠেছিল স্লট লিডার।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই ধারাবাহিকের গল্পেও আসতে শুরু একঘেয়েমি। গুনগুন (Gun Gun) সৌজন্যের (Soujanya) খুনসুটির মাঝে আন্না হয়েছে তিন্নির মতো খলচরিত্রও। এরপর দিনের পর দিন পছন্দের সিরিয়ালে বস্তাপচা কনসেপ্ট দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পড়েন দর্শকদের একটা বড় অংশ। তারা এই সিরিয়াল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেই পড়তে শুরু করে সিরিয়ালের টি আর পি।
এরপরেই দিনের পর টি আর পি স্কোর কমতে কমতে একসময় সেরা দশেরও বাইরে চলে যেতে থাকে খড়কুটো। যার ফলে সন্ধ্যা সাতটার প্রাইম টাইম স্লট হারিয়ে এক ধাক্কায় ছিটকে পড়ে একেবারে দুপুরের স্লটে। কিন্তু দুপুরের স্লটে আসলেও এখনও পর্যন্ত রমরমিয়ে চলছে খড়কুটো। আর সম্প্রতি সিরিয়ালে এসেছে নতুন মোড়। যা ফের একবার এই সিরিয়ালকে নিয়ে এসেছে দর্শকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রসঙ্গত এই সিরিয়ালের যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন মুখার্জী বাড়ির আদরের ছোট মেয়ে সাঁজি (Sanji) বদমাশ স্রোত কে ভালোবেসে একেবারে ঠকে গিয়েছে। শুধু ছেলেটাই নয় বাবা মা সহ গোটা পরিবারটাই ফ্রড। তাদের টাকার লোভ এতটাই বেশি যে সাঁজিকে পরপুরুষের হাতে তুলে দিয়ে নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি দিতেও হাত কাঁপে না একবারও।
ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে পুলিশের ঘায়ে শেষ মেশ জব্দ হয়েছে অমানুষ স্রোত (Sroth। শেষমেশ সত্যি বলতে বাধ্য হয় সে। এরপর দেখা গিয়েছে পুলিশ নিয়ে সাঁজি কে উদ্ধার করতে সেই নিষিদ্ধ পল্লীতে গিয়েছে গুনগুন পটকা (Potka) সহ সাঁজির দাদারা। সব জানার পর বাবা পটকা কাছে ডাকলে কান্নায় ভেঙে পড়ে সাজি। এই গত দুদিনের পর্বে সাঁজির অভিনয় চোখে জল এনে দিয়েছে দর্শকদের। এই এপিসোড দেখে দর্শকরা বলছেন সাজি নিজের জীবনের সেরা অভিনয় করেছে এই দুটো এপিসোডে।
View this post on Instagram