সিরিয়াল দেখতে কমবেশি সকলেই ভালোবাসে। আর সিরিয়ালের দৌলতে অভিনেতা অভিনেত্রীরা বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েন। একসময়ের ‘মা’ সিরিয়ালের (Maa Serial) দৌলতে যে জনপ্রিয়তা পান ঝিলিক অভিনেত্রী তিথি বসু (Tithi Basu)। বর্তমানে অনেকটাই বড় হয়ে গেছেন তিনি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ পপুলার। তবে আজও অনেকেই তাকে তিথি নয় বরং ঝিলিক নামেই চেনে।
মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই অভিনয়ে হাতে খড়ি হয়েছিল তিথির। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে অভিনয় করেছিল সে। মা সিরিয়ালের ছোট্ট ঝিলিকের চরিত্রে তাঁর অভিনয় সকলের মন জয় করেছিল। একপ্রকার লেখাপড়ার হাতেখড়ির আগেই হয়েছিল অভিনয়ের হাতেখড়ি। সেই তিথিই বর্তমানে কলেজে পড়ে। তবে এটা শুনে অনেকেই অবাক হয়ে যান যে তিথি কলেজে পরে।
মা সিরিয়ালটি প্রায় ৬ বছর ধরে চলছিল, সেই সময় অভিনয়ের পাশাপাশিই চলতো পড়াশোনা। বাড়িতে সারাদিন মায়ের সাথেই কাটে অভিনেত্রীর। বাবা কর্মূসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকেন। তাই মায়ের সাথেই চলত কথা থেকে সমস্ত ঝগড়া। তাছাড়া ইতিমধ্যেই প্রেমিকের সাথে বেশ প্রেমও করছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সে কথা প্রায় সকলেরই জানা।
দিদি নং ১ এ রচনা ব্যানার্জীর সামনে নিজের প্রেমের কথা স্বীকারও করেছিল তিথি। সাথে জানিয়েছিল কিভাবে শুরু হয়েছিল দুজনের প্রেম। প্রেমিক দেবায়ুধ পাল একজন ক্রিকেটার, দুজনের আলাপ হয়েছিল কলেজেই। খুব বেশি কথা বললেও কলেজে পড়াকালীন প্রথমে সেটা চেপে রেখেছিল, চুপচাপ থাকত। কিন্তু প্রেমিকের সাথে কথা বলতে গিয়ে চুপ থাকা আর হয়নি। আর প্রেমে পড়া ঠিক কখন হল সেটা বুঝতেই পারেনি সে।
স্বাভাবিকভাবে কলেজে গিয়ে একপ্রকার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। নিজের জীবনটাও বড্ডো অগোছালো প্রকৃতির হয়ে রয়েছে সে কথা স্বীকার করে তিথি জানায় আস্তে আস্তে গুছিয়ে নেবে সবটা। এরপর কথায় কথায় প্রিয় পড়ার বিষয়ের কথা ওঠে। জানা যায় রচনা ব্যানার্জীর প্রিয় বিষয় ইকোনোমিক্স। তবে বড্ডো চাপের সেটা, একথা স্বীকার করেছিল টিভিও।
এরপর তিথি জানায় প্রথম সেমিস্টারে পড়াশোনার চাপ বেড়ে গিয়েছিল। একসময় মনে হত গ্রাজুয়েশন টুকুও পাশ করতে পারব না। তবে পড়াশোনা আর অভিনয় দুটোই দিব্যি সামলে চলেছে অভিনেত্রী। আর মূলত অভিনেত্রী হওয়াটাই মূল লক্ষ্য।