সারা সপ্তাহের ব্যস্ততা শেষে দর্শকদের মনের ক্লান্তি দূর করতে বিনোদন ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। একথা একবাক্যে স্বীকার করবেন কম বেশি সকলেই। আর তাই একঘেয়ে কাজের জীবন থেকে নিস্তার মিলতেই সপ্তাহের শেষে বাঙালির বিনোদনের অন্যতম রসদ নিয়ে টিভির পর্দায় হাজির হন বাংলার মহারাজ তথা সকলের প্রিয় দাদা সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)।
আসলে ২২ গজের ময়দান হোক কিংবা টিভির পর্দা প্রিন্স অফ ক্যালকাটার দাদাগিরি (Dadagiri) দেখতে দারুন পছন্দ করেন আট থেকে আশি সকল দর্শক। তাই দাদাগিরির মঞ্চে এসে সামনে দাঁড়িয়ে স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলীকে নিজের চোখে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কেউই। তা সে সাধারণ মানুষ হোন কিংবা সেলিব্রেটি, দাদাগিরির মঞ্চে অন্তত একবার হলেও আসতে চান সকলেই।
প্রসঙ্গত সৌরভ গাঙ্গুলীর বিরিয়ানির প্রতি যে বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে সেকথা এতদিনে কমবেশি সকলেই জানেন । আসলে বিরিয়ানি লাভার্সদের কাছে বিরিয়ানি এমনই একটা জিনিস যার নাম শুনলেই যেন খিদে পেয়ে যায়। আর কলকাতার বিরিয়ানি প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত নাম ব্যারাকপুরের দাদা বৌদির বিরিয়ানি। এই বিরিয়ানির স্বাদ একবার যে নিয়েছে বারবার সে ছুটে গিয়েছে ওই একই দোকানে।
কিন্তু দাদা বৌদি নামটা শুনলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে দোকানের এমন নামকরণের কারণ কি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি পর্ব। সেই পর্বে দেখা যাচ্ছে দাদাগিরির মঞ্চে হাজির খোদ দাদা বৌদির বিরিয়ানি দোকানের বর্তমান কর্ণধার। সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে কথায় কথায় তিনি জানান তাদের দোকানের এই নামকরণের আসল কারণ কি!
সেখানেই জানা যায় তাঁর মা-বাবা ৩০ বছর আগে দোকান শুরু করেছিল। প্রথম দিকে ৩ কিলো মাংসের বিরিয়ানি তৈরি করা হত। তাও বিক্রি হত না। এখন ৪০০-৫০০ কিলো মাংস লাগে। জানা যায়,কল্যাণী থেকে প্রাক্টিস সেরে ফেরার পথে ওই দোকানে বিরিয়ানি নিতে গিয়েছিলেন সৌরভও। তারপর বিরিয়ানি কিনে খেতে খেতে বাড়ি ফিরেছিলেন মহারাজ। এদিন কথা প্রসঙ্গে ‘দাদা বৌদির বিরিয়ানি’র পার্টনার হওয়ারও প্রস্তাব রাখা হয় মহারাজের কাছে। আর তাতে সৌরভের মজার উত্তর, ‘আমি তো সব বিরিয়ানি খেয়ে নেব’।