টলিউডে সুখেন দাস (Sukhen Das) ছিলেন ট্র্যাজিক অভিনেতা। একাধারে অভিনেতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন নামি পরিচালকও। তার ছবি মানেই দর্শকরা চোখের জল মুছতে মুছতে হল থেকে বেরোতেন৷ একসময় হিটের পর হিট ছবি উপহার দিতেন তিনি। তার ছবির প্রধান ইউএসপি ছিল তাঁর দাদা অজয় দাসের দুর্দান্ত কম্পোজিশনের গান। উত্তমকুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও কাজ করেছেন সুখেন দাসের ছবিতে। এমনকি সুজিত গুহর ‘অভিমান’ ছবিতে মহুয়া রায়চৌধুরীর বড়দার রোলে সুখেন দাসের রোলও ভুলতে পারেননি অনেকে।
কিন্তু এত প্রতিভাবান অভিনেতা তথা পরিচালককে আজকে কতজনই বা চেনে? ইন্ডাস্ট্রি তাকে যোগ্য সম্মান কখনই দেয়নি। সুখেন দাসের পরিচালনায় সুনয়নী, সিংহদুয়ার, মান অভিমান, সংকল্প, প্রতিশোধ, জীবন-মরণ, দাদামণি, দান-প্রতিদান সবই এক একটা সুপারহিট ছবি। শোনা যায়, স্বয়ং সত্যজিৎ রায় ও সুখেন দাসের ছবির প্রশংসা করেছিলেন।
কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সরিকার কেউই অভিনেতাকে সম্মান জানাননি, এটাই একমাত্র আক্ষেপ তার কন্যা পিয়ার। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, পিয়া জানান বাবা বলেছিলেন ছোট মেয়েকে অভিনয়ে আনবেন না। কিন্তু বড় মেয়েকে যখন মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্যানসারে হারান তখনি সুখেন দাস ঠিক করেন ছোট মেয়ে পিয়াকেই ইন্ডাস্ট্রিতে আনবেন।
কিন্তু আজ ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে এসেছেন পিয়া, পাশাপাশি তার ক্ষোভ সুখেনের ছবি সব দিক থেকেই ছিল উতকৃষ্ট। ছবি থেকে সংলাপ, গান সব ছিল সেন্টিমেন্টে ভরা, যার জেরে তা ছিল চূড়ান্ত হিট। কেননা তখনকার বাঙালি এটাই পছন্দ করতেন। পিয়া আরও জানান, উত্তম কুমারের পর সুখেন দাসই ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, অথচ আজ কেউ মনেও রাখেনি তাকে। সরকারি সম্মান তো দূর, বেসরকারি সম্মানও পাননি তিনি। অভিনেত্রীর অভিযোগ এবার অন্তত তাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হোক।